পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्ररौटज-ब्रक्रमांवलौ بوده و) তখন গোস্বারের মতো নিছক খুনখারাবির ব্যাপার ছিল না। তাতে যেমন ছিল বুকের পাট তেমনি দরাজ মন । এ দিকে ভদ্রলোকের ঘরেও লাঠি দিয়ে লাঠি ঠেকাবার আখড়া বলে গিয়েছিল। যারা নাম করেছিল ডাকাতরাও তাদের মানত ওস্তাদ বলে, এড়িয়ে চলত তাদের সীমানা । অনেক জমিদারের ডাকাতি ছিল ব্যাবসা । গল্প শুনেছি, সেই জাতের একজন দল বসিয়ে রেখেছিল নদীর মোহানায় । সেদিন অমাবস্তা, পুজোর রাত্তির, কালী কঙ্কালীর নামে মুণ্ড কেটে মন্দিরে যখন নিয়ে এল জমিদার কপাল চাপড়ে বললে, “এ ষে আমারই জামাই!’ আরও শোনা যেত রঘুডাকাত বিশুভাকাতের কথা। তারা মাগে থাকতে খবর দিয়ে ডাকাতি করত, ইতরপন করত না। দূর থেকে তাদের হাক শুনে পাড়ার রক্ত যেত হিম হয়ে । মেয়েদের গায়ে হাত দিতে তাদের ধর্মে ছিল মানা । একবার একজন মেয়ে খাড়া হাতে কালী সেজে উলটে ডাকাতের কাছ থেকে প্রণামী আদায় করেছিল। আমাদের বাড়িতে একদিন ডাকাতের খেলা দেখানো হয়েছিল । মস্ত মস্ত কালো কালো জোয়ান সব, লম্বা লম্বা চুল। টেকিতে চাদর বেঁধে সেটা ট্রাতে কামড়ে ধরে দিলে টেকিটা টপকিয়ে পিঠের দিকে। কাকড়া চুলে মানুষ ছলিয়ে লাগল ঘোরাতে । লম্বা লাঠির উপর ভর দিয়ে লাফিয়ে উঠল দোতলায় । একজনের দুই হাতের ফাক দিয়ে পাখির মতো স্কট করে বেরিয়ে গেল। দশ-বিশ কোশ দূরে ডাকাতি সেরে সেই রাত্রেই ভালেমামুষের মতো ঘরে ফিরে এসে শুয়ে থাকা কেমন করে হতে পারে, তাও দেখালে। খুব বড়ো একজোড়া লাঠির মাঝখানে আড়-করা একটা করে পা রাখবার কাঠের টুকরো বাধা । এই লাঠিকে বলে রঙপা। দুই হাতে দুই লাঠির আগা ধরে সেই পাদানের উপর পা রেখে চললে এক পা ফেলা দশ পা ফেলার সামিল হত, cघाफ़ाब cळ्रब cनोफ़ इङ cवनि । छांकठि कब्रवांब्र मङणव बनि७ माषांश झिण ना डबू এক সময়ে এই রঙপায় চলার অভ্যাস তখনকার শাস্তিনিকেতনে ছেলেদের মধ্যে চালাবার চেষ্টা করেছিলুম। ডাকাতি খেলার এই ছবি গামের মুখের গল্পের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ে কতবার সদ্ধে কাটিয়েছি স্তু হাতে পাজর চেপে ধরে । ছুটির রবিবার। আগের সন্ধেবেলায় ঝিকি ডাকছিল বাইরের দক্ষিণের বাগানের ঝোপে, গল্পটা ছিল রঘু ডাকাতের । ছায়-কাপা ঘরে মিউনিটে আলোতে বুক করছিল ধুকধুক। পরদিন ছুটির কাকে পালকিতে চড়ে বললুম। সেটা চলতে শুরু করল বিনা চলায়, উড়ো ঠিকানায়, গল্পের জালে জড়ানো মনটাকে ভয়ের স্বাদ দেবার জন্তে । নিঝুম অন্ধকারের নাড়িতে যেন তালে তালে ৰেজে উঠছে বেহালাগুলোর ধাই হই খাই হই, গা করছে ছল ছল। ৰুং করে মাঠ, বাতাল ধাপে