পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&S8 রবীন্দ্র-রচনাবলী ছেলেদের খেলা সবই ছিল এমনি কমজোরি। মাঠজোড়া ফুটবল-খেলার লম্ফবপ তখনো ছিল সমূদ্রপারে। এমনি করে একই মাপের দিনগুলো শুকনো খুঁটির বেড়া পুতে চলেছিল আমাকে পাকে পাকে ঘিরে। এমন সময় একদিন বাজল সানাই বারোয়ণ স্বরে। বাড়িতে এল নতুন বেী’, কচি শামলা হাতে সরু লোনার চুড়ি। পলক ফেলতেই ফাক হয়ে গেল বেড়া, দেখা দিল চেনাশোনার বাছির সীমানা থেকে মায়াবী দেশের নতুন মাহুৰ। দূরে দূরে ঘুরে বেড়াই, সাহস হয় না কাছে আসতে । ও এসে বলেছে আদরের আসনে, আমি যে হেলাফেলার ছেলেমহিষ । দুই মহলে বাড়ি তখন ভাগ করা । পুরুষরা থাকে বাইরে, মেয়ের ভিতর-কোঠায় । নবাবি কায়দা তখনো চলে আসছে। মনে আছে দিদি বেড়াচ্ছিলেন ছাদের উপর নতুন বেীকে পাশে নিয়ে, মনের কথা-বলাবলি চলছিল। আমি কাছে যাবার চেষ্টা করতেই এক ধমক ৷ এ পাড়া যে ছেলেদের দাগকাটা গণ্ডির বাইরের। আবার শুকনো মুখ করে ফিরতে হবে সেই ছাংলাপড়া পুরোনো দিনের আড়ালে । হঠাৎ দূর পাহাড় থেকে বর্ষার জল নেমে সাবেক বাধের তলা ক্ষইয়ে দেয়, এবার তাই ঘটল । বাড়িতে নতুন আইন চালালেন কত্রী। বৌঠাকরুনের জায়গা হল বাড়ি-ভিতরের ছাদের লাগাও ঘরে। সেই ছাদে তারই হল পুরো দখল । পুতুলের বিয়েতে ভোজের পাতা পড়ত সেইখানে। নেমন্তরের দিনে প্রধান ব্যক্তি হয়ে উঠত এই ছেলেমাস্থ্য। বৌঠাকরুন রাধতে পারতেন ভালো, খাওয়াতে ভালোবাসতেন, এই খাওয়াবার শখ মেটাতে আমাকে হাজির পেতেন। ইস্কুল থেকে ফিরে এলেই তৈরি থাকত তার আপন হাতের প্রসাদ । চিংড়িমাছের চচ্চড়ির সঙ্গে পানত ভাত ষেদিন মেখে দিতেন অল্প একটু লঙ্কার আভাগ দিয়ে, সেদিন আর কথা ছিল না। মাঝে মাঝে যখন আত্মীয়-বাড়িতে যেতেন, ঘরের সামনে তার চটিজুত্যেজোড়া দেখতে পেতুম না, তখন রাগ করে ঘরের থেকে একট-কোনো দামি জিনিল লুকিয়ে রেখে ঝগড়ার পত্তন করতুম। বলতে হত, ‘তুমি গেলে তোমার ঘর সামলাৰে কে। আমি কি চৌকিদার। তিনি রাগ দেখিয়ে বলতেন, ‘তোমাকে জার ঘর সামলাতে হবে না, নিজের হাত সামগিয়ো ’ । এ কালের মেয়েদের হালি পাৰে, তারা বলবেন, নিজের ছাড়া সংলায়ে কি পরের দেওর ছিল না কোনোখানে । কথাটা মানি । এখনকার কালের বাস সকল দিকেই > कांक्चन्नैौ cनरी, cजांखिब्रिटयवांtषब्र *ईौ ९ ‘oशंकृर्मिवि' दकूिबांबैौ oगरी