পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Syū রবীন্দ্র-রচনাবলী এই-সকল পুরোনো কায়দার ভিড়ের মধ্যে জ্যোতিদাদা এসেছিলেন নির্জলা নতুন মন নিয়ে। আমি ছিলুম তার চেয়ে বারো বছরের ছোটো। বয়সের এত দূর থেকে আমি ষে তার চোখে পড়তুম এই আশ্চর্ষ। আরও আশ্চর্ষ এই যে, তার সঙ্গে আলাপে জ্যাঠামি বলে কখনও আমার মুখ চাপা দেন নি। তাই কোনো কথা ভাবতে আমার সাহসে অকুলোন হয় নি। আজ ছেলেদের মধ্যেই আমার বাস। পাচরকম কথা পাড়ি, দেখি তাদের মুখ বোজা। জিজ্ঞেসা করতে এদের বাধে। বুঝতে পারি, এরা সব সেই বুড়োদের কালের ছেলে যে কালে বড়োরা কইত কথা আর ছোটোরা থাকত বোবা। জিজ্ঞাসা করবার সাহল নতুন কালের ছেলেদের ; আর বুড়োকালের ছেলেরা সব-কিছু মেনে নেয় ঘাড় গুজে । ছাদের ঘরে এল পিয়ানো । আর এল একালের বার্নিশকরা বৌবাজারের আসবাব । বুকের ছাতি উঠল ফুলে। গরিবের চোখে দেখা দিল হাল-আমলের সন্তা জামিরি । এইবার ছুটল আমার গানের ফোয়ারা । জ্যোতিদাদা পিয়ানোর উপর হাত চালিয়ে নতুন নতুন ভঙ্গিতে ঝমাঝম স্বর তৈরি করে যেতেন, আমাকে রাখতেন পাশে । তখনি তখনি সেই ছুটে-চলা স্বরে কথা বসিয়ে বেঁধে রাখবার কাজ ছিল আমার । দিনের শেষে ছাদের উপর পড়ত মাদুর আর তাকিয়া । একটা রুপার রেকাবিতে বেলফুলের গোড়ে মালা ভিজে রুমালে, পিরিচে একমাল বরক-দেওয়া জল জার বাটাতে ছাচিপান । বৌঠাকরুন গা ধুয়ে চুল বেঁধে তৈরি হয়ে বসতেন । গায়ে একখানা পাতলা চাদর উড়িয়ে আসতেন জ্যোতিদাদা, বেহালাতে লাগাতেন ছড়ি, আমি ধরতুম চড়া স্বরের গান। গলায় যেটুকু স্বর দিয়েছিলেন বিধাতা তখনও তা ফিরিয়ে নেন নি। সূৰ্ব-ডোবা আকাশে ছাদে ছাদে ছড়িয়ে যেত আমার গান। ছ হ করে দক্ষিণে বাতাস উঠত দূর সমুদ্র থেকে, তারায় তারায় যেত আকাশ ভ'রে । ছাদটাকে বৌঠাকরুন একেবারে বাগান বানিয়ে তুলেছিলেন । পিয়ের উপরে সারি সারি লম্বা পাম গাছ, আশেপাশে চামেলি গন্ধরাজ রজনীগন্ধা করব দোলনগপা। ছাদ-জখমের কথা মনেই আনেন নি, পৰাই ছিলেন খেয়ালি । * প্রায় আসতেন অক্ষয় চৌধুরী। তার গলার স্বয় ছিল না লে কথা তিনিও জানতেন, জন্যেরা আরও বেশি জানত। কিন্তু তার গাবার জেন কিছুতে ধামত না। বিশেষ करब cवशं★ ब्रांगिकैtठ झ्णि ॐांब *१ । cझां५ जूब श्राहेcख्न, बांब्रा छनऊ छाrमब्र মুখের ভাব দেখতে পেতেন না। হাতের কাছে জাওয়াজওয়ালা কিছু পেলেই ধাত দিয়ে ঠোট কামড়ে ধরে পটাপট শৰে তাকেই ৰায়া-তবলার বদলি করে নিতেন ।