পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्ररौठम-ब्रक्रमांवलौ موادوئ অস্থির হয়ে আপত্তি জানিয়েছি, জবাবে শুনেছি জ্যাঠামি করতে হবে না। আমি বৌঠাকরুনকে জানিয়েছি, এর চেয়ে অনেক ভালো, অনেক ভয়, সেকেলে সাদা কালাপেড়ে শাড়ি কিংবা ঢাকাই । আমি ভাবি আজকালকার জর্জেট-জড়ানো বৌদিদিদের রঙ-করা পুতুল-গড় রূপ দেখে দেওরদের মুখে কি কোনো কথা সরছে না । উমেশের সেলাই-করা ঢাকনি -পরা বৌঠাকরুন যে ছিলেন ভালো। চেহারার উপর এভ বেশি জালিয়াতি তখন ছিল না। 禹 তর্কে বৌঠাকরুনের কাছে বরাবর হেরেছি, কেননা তিনি তর্কের জবাব দিতেন না । আর হেরেছি দাবাখেলায়, সে খেলায় তার হাত ছিল পাকা । জ্যোতিদাদার কথা যখন উঠে পড়েছে তখন তাকে ভালো করে চিনিয়ে দিতে আরও কিছু বলার দরকার হবে। শুরু করতে হবে আরও একটু আগেকার দিনে। জমিদারির কাজ দেখতে প্রায় তাকে যেতে হত শিলাইদহে। একবার যখন সেই দরকারে বেরিয়েছিলেন আমাকেও নিয়েছিলেন সঙ্গে । তখনকার পক্ষে এটা ছিল বেদম্বর, অর্থাৎ বাকে লোকে বলতে পারত বাড়াবাড়ি হচ্ছে। তিনি নিশ্চয় ভেবেছিলেন, ঘর থেকে এই বাইরে চলাচল এ একটা চলতি ক্লাসের মতো। তিনি বুঝে নিয়েছিলেন, আমার ছিল আকাশে-বাতাসে-চ’রে-বেড়ানো মন— সেখান থেকে আমি খোরাক পাই আপনা হতেই। তার কিছুকাল পরে জীবনটা যখন আরও উপরের ক্লাসে উঠেছিল আমি মানুষ হচ্ছিলুম এই শিলাইদহে । পুরোনো নীলকুঠি’ তখনো খাড়া ছিল। পক্ষা ছিল দূরে । নীচের তলায় কাছারি, উপরের তলায় আমাদের থাকবার জায়গা। সামনে খুব মস্ত একটা ছাদ । ছাদের বাইরে বড়ো বড়ো ঝাউগাছ, এরা একদিন নীলকর সাহেবের ব্যাকার সঙ্গে বেড়ে উঠেছিল। আজ কুঠিয়াল সাহেবের দাবৱাৰ একেবারে থৰ থম করছে। কোথায় নীলকুঠির ধমের দূত সেই দেওয়ান, কোথায় লাঠি-কাধে কোমর-বাধা পোনার দল, কোথায় লম্বা-টেবিল-পাতা থানার ঘর যেখানে ঘোড়ায় চড়ে সম্বর থেকে সাহেবরা এসে রাতকে দিন করে তি— ভোজের সঙ্গে চলত জুড়ি নৃত্যের ঘূর্ণিপাক, রক্তে ফুটতে থাকত গস্পেনের নেশা, হতভাগা রায়তদের দোহাই-পাড়া কান্না উপরওয়ালামের কানে পৌঁছত না, সম্বর জেলখানা পর্যন্ত তাদের শাসনের পথ লম্বা হয়ে চলত। সেদিনকার আর বা-কি সব মিথ্যে হয়ে গেছে, কেবল সত্য হয়ে আছে দুই সাহেবের দুটি গোর। লম্বা লম্বা কাউগাছগুলি দোলান্থলি করে বাতালে, জার

  • फूणनीव्र ‘बत्रविप्न', »-नाशक करिछ । ब्रवीत्र-ब्रध्नांक्जी, गपक्रिन पe