পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

įs রবীন্দ্র-রচনাবলী * هجوم সরে সরে যায়, তাকে ধরা যায় না। অক্ষয়বাৰু তীর আত্মীয়দের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে এই কবিতা শুনিয়ে বেড়ালেন ; আত্মীয়রা বললেন, ছেলেটির লেখবার হাত আছে। বৌঠাকরুনের ব্যবহার ছিল উলটাে। কোনোকালে আমি ৰে লিখিয়ে হব, এ তিনি কিছুতে মানতেন না। কেবলই খোটা দিয়ে বলতেন, কোনোকালে বিহারী চক্রবর্তীর মতো লিখতে পারব না। আমি মন-মরা হয়ে ভাবতুম, তার চেয়ে অনেক নীচের ধাপের মার্ক যদি মিলত তা হলে মেয়েদের সাজ নিয়ে তার খুদে দেওর-কবির অপছন্দ অমন করে উড়িয়ে দিতে তার বাধত । o জ্যোতিদাদা ঘোড়ায় চড়তে ভালোবাসতেন। বৌঠাক কনকেও ঘোড়ায় চড়িয়ে চিৎপুরের রাস্তা দিয়ে ইডেন গার্ডেনে বেড়াতে যেতেন এমন ঘটনাও সেদিন ঘটেছিল। শিলাইদহে আমাকে দিলেন এক টাটু ঘোড়া। সে জন্তুটা কম দৌড়বাজ ছিল না। আমাকে পাঠিয়ে দিলেন রণতলার মাঠে ঘোড়া দৌড় করিয়ে আনতে।” সেই এবড়ো-খেবড়ো মাঠে পড়ি-পড়ি করতে করতে ঘোড়া ছটিয়ে আনতুন। আমি পড়ব না, তার মনে এই জোর ছিল বলেই আমি পড়ি নি । কিছুকাল পরে কলকাতার রাস্তাতেও আমাকে ঘোড়া চড়িয়েছিলেন। সে টাই নয়, বেশ মেজাজি ঘোড়া । একদিন লে আমাকে পিঠে নিয়ে দেউড়ির ভিতর দিয়ে লোজা দুটে গিয়েছিল উঠোনে যেখানে সে দান খেত। পরদিন থেকে তার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল । বন্দুক-ছোড়া জ্যোতিদ্বাৰা কস্ত করেছিলেন, সে কথা পূর্বেই জানিয়েছি। বাঘশিকারের ইচ্ছা ছিল তার মনে । বিশ্বনাথ শিকারী একদিন খবর দিল, শিলাইদহের জঙ্গলে বাঘ এসেছে। তখনি বন্দুক বাগিয়ে তিনি তৈরি হলেন। আশ্চর্ষের কথা এই, আমাকেও নিলেন সঙ্গে । একটা মুশকিল কিছু ঘটতে পারে, এ যেন তার ভাবনার মধ্যেই ছিল না । l ওস্তাদ শিকারী ছিল বটে বিশ্বনাথ । সে জানত, মাচানের উপর থেকে শিকার করাটা মরদের কাজ নয়। বাঘকে সামনে ভাক দিয়ে লাগাত গুলি। একবারও ফলকায় নি তার তাক ।* ** ங் ঘন জঙ্গল। সেরকম জঙ্গলের ছায়াতে আলোতে বাঘ চোখেই পড়তে চায় না। একটা মোট বাশগাছের গারে কঞ্চি কেটে কেটে মইয়ের মতো বানানো হয়েছে। জ্যোতিমায় উঠলেন বন্দুক হাতে । আমার পাম্বে জুতোও নেই, বাবটা १ जोश भ•-णाशक कछि-बत्रप्नि । क्वीठ-बझनाक्नी, कति क्ष