পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেবেলা i e९१ আমার সাতার দিয়ে পদ্মা পার হওয়ার গল্পও এসব গল্পের থেকে খুব বেশি তফাত नग्न ! সতেরো বছরে পড়লুম যখন, ভারতীর সম্পাদকি বৈঠক থেকে আমাকে সরে যেতে झल । এই সময়ে আমার বিলেত যাওয়া ঠিক হয়েছে। আর সেই সঙ্গে পরামর্শ হল, জাহাজে চড়বার আগে মেজদাদার সঙ্গে গিয়ে আমাকে বিলিতি চালচলনের গোড়াপত্তন করে নিতে হবে । তিনি তখন জজিয়তি করছেন আমেদাবাদে ; মেজবৌঠাকরুন আর তার ছেলেমেয়ে আছেন ইংলণ্ডে, ফলে নিয়ে মেজদাদা তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন এই অপেক্ষায় । o শিকড়ম্বদ্ধ আমাকে উপড়ে নিয়ে আসা হল এক খেত থেকে আর-এক খেতে । নতুন আবহাওয়ার সঙ্গে বোঝাপড়া শুরু হল । গোড়াতে সব-তাতেই খটকা দিতে লাগল লজ্জা। নতুন লোকের সঙ্গে আলাপে নিজের মানরক্ষা করব কী করে এই ছিল ভাবনা । যে অচেনা সংসারের সঙ্গে মাখামাখিও সহজ ছিল না, আর পথ ছিল না যাকে এড়িয়ে যাওয়ার, আমার মতো ছেলের মন সেখানে কেবলই স্থ চট খেয়ে মরত। আমেদাবাদে একটা পুরনো ইতিহাসের ছবির মধ্যে আমার মন উড়ে বেড়াতে লাগল। জজের বাসা ছিল শাহিবাগে, বাদশাহি আমলের রাজবাড়িতে। দিনের বেলায় মেজদাদা চলে যেতেন কাজে ; বড়ো বড়ো ফাকা ঘর হা হা করছে, সমস্ত দিন ভূতে-পাওয়ার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছি। সামনে প্রকাও চাতাল, সেখান থেকে দেখা যেত সাবরমতী নদী হাটুজল লুটিয়ে নিয়ে এঁকেবেঁকে চলেছে বালির মধ্যে। চাতালটার কোথাও কোথাও চৌবাচ্ছার পাথরের গাখনিতে যেন খবর জমা হয়ে আছে বেগমদের স্বানের আমিল্লিআনার । কলকাতায় আমরা মানুষ, লেখানে ইতিহাসের মাথাতোলা চেহারা কোথাও দেখি নি। আমাদের চাহনি খুব কাছের দিকের বেঁটে সময়টাতেই বাধা । আমেদাবাদে এলে এই প্রথম দেখলুম চলচ্চি ইতিহাস থেমে গিয়েছে, দেখা যাচ্ছে তার পিছন-ফেরা বড়ো ঘরোয়ানা। তার সাবেক দিনগুলো যেন ক্ষের ধনের মতো মাটির নীচে পোতা। আমার মনের মধ্যে প্রথম জাভাস দিয়েছিল জুৰিত পাষাণ’এর গল্পের । । সে আজ কত শত বৎসরের কথা। নহবতখানায় বাজছে রোশনচোঁকি দিনরাজে অষ্ট প্রহরের রাগিণীতে, রাস্তায় তালে তালে ঘোড়ার খুরের শস্ব উঠছে, ঘোড়সওয়ার তুর্কি ফৌজের চলছে কুচকাওয়াজ, তাদের বর্শার ফলায় রোজ উঠছে ঝকঝকিয়ে । • ग्रांडेश ब्रीव-क्रमोक्ली, त्णि पंख