পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেবেলা ఆశీS মনে পড়ছে তার মুখেই প্রথম শুনেছিলুম আমার চেহারার তারিফ । সেই বাহবায় অনেক সময় গুণপনা থাকত। যেমন, একবার আমাকে বিশেষ ক’রে বলেছিলেন, ‘একটা কথা আমার রাখতেই হবে, তুমি কোনো দিন দাড়ি রেখে না, তোমার মুখের সীমানা যেন কিছুতেই ঢাকা না পড়ে। তার এই কথা আজ পর্যন্ত রাখা হয় নি, সে কথা সকলেরই জানা আছে। আমার মুখে অবাধ্যতা প্রকাশ পাবার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছিল। l আমাদের ঐ বটগাছটাতে কোনো কোনো বছরে হঠাৎ বিদেশী পাখি এসে বালা বঁধে। তাদের ডানার নাচ চিনে নিতে নিতেই দেখি তারা চলে গেছে। তারা অজানা স্বর নিয়ে আসে দূরের বন থেকে। তেমনি জীবনযাত্রার মাঝে মাঝে জগতের অচেনা মহল থেকে মাসে আপন-মানুষের দূতী, হৃদয়ের দখলের সীমানা বড়ো করে দিয়ে যায়। না ডাকতেই আসে, শেষকালে একদিন ডেকে আর পাওয়া যায় না । চলে যেতে যেতে বেঁচে-থাকার চাদরটার উপরে ফুলকাটা কাজের পাড় বসিয়ে দেয়, বরাবরের মতো দিনরাত্রির দাম দিয়ে ষায় বাড়িয়ে । S8 যে মূর্তিকার আমাকে বানিয়ে তুলেছেন তার হাতের প্রথম কাজ বাংলাদেশের মাটি দিয়ে তৈরি । একটা চেহারার প্রথম আদল দেখা দিল— সেটাকেই বলি ছেলেৰেলা, সেটাতে মিশেল বেশি নেই। তার মালমসলা নিজের মধ্যেই জমা ছিল, আর কিছু কিছু ছিল ঘরের হাওয়া আর ঘরের লোকের হাতে। অনেক সময়ে এইখানেই গড়নের কাজ থেমে যায় । এর উপরে লেখাপড়া-শিক্ষার কারখানাঘরে যাদের বিশেষ রকম গড়ন-পিটন ঘটে তারা বাজারে বিশেষ মার্কার স্বাষ পায় । আমি দৈবক্রমে ঐ কারখানাঘরের প্রায় সমস্তটাই এড়িয়ে গিয়েছিলুম। মাস্টার পণ্ডিত যাদের বিশেষ করে রাখা হয়েছিল তারা আমাকে তরিয়ে দেবার কাজে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন । জ্ঞানচন্দ্র ভট্টাচাৰ্ধ মশায় ছিলেন আনন্দচন্দ্ৰ বেদাঙ্কবাগীশ মশায়ের পুত্র, বি. এ. পাস করা। তিনি বুৰে নিয়েছিলেন, লেখাপড়া-শেখার বাধা রাস্তায় এ ছেলেকে চালানো বাবে না। মুশকিল এই যে, পাল-করা ভালোকের ছাচে ছেলেম্বের চালাই করতেই হবে, এ কথাটা তখনকার জিনের মুকলির তেমন জোরের সঙ্গে ভাবেন নি। সেকালে কলেজি বিভায় একই বেড়াজালে ধনী অধনী সকলকেই টেনে चांनबांब्र उॉगिन हिल मां । चांबांटनञ्च यश८ण उवन थन हिल ना क्लिख् नांव हिल, डांझे