পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী 88و) হাচির ধাক্কা এতখানি, এটা গুজব মিথ্যে— এই নিয়ে সব কলেজ-পড়া বিজ্ঞানীদের চিত্তে অল্প কিছু লাগল ধাধা। রাগল অপর পক্ষে ; বললে, ‘ফিজিক্স পড়ে কেবল খুলে লাগায় চক্ষে । অন্ত দেশে অসম্ভব বা পুণ্য ভারতবর্বে সম্ভব নয় বলিস যদি প্রায়শ্চিত্ত কর লে।’ এই নিয়ে দুই দলে মিলে ইট পাটকেল ছোড়া— হায় রে কারও ভাঙল কপাল, কেউ বা হল খোড়া । গোলদিঘি লালদিঘি জুড়ে বীরপুরুষের বড়াই— সমুদ্ধরের এ পারেতে এরেই বলে লড়াই। সিন্ধুপারে মৃত্যুদূতের চলছে নাচানাচি, বাংলাদেশের তেঁতুলবনে চৌকিদারের হাচি । সত্য হোক বা আজগুবি হোক— আদমদিঘির পাড়ে বাদর চড়ে বসে আছে রামছাগলের ঘাড়ে । ছেলেরা সব হাততালি দেয়, বাজে রে ডুগডুগি— গভীর জলে কাংলা খেলায়, জল ওঠে বুগৰুগি । —শনিবারের চিঠি, ১৩৪৮ ভাদ্র, পৃ ৭৯৩ কবির হাতে লেখা, ছড়া'র পঞ্চম কবিতার একটি পাণ্ডুলিপিতে উক্ত গ্রন্থের দ্বিতীয় কবিতার পূর্বাভাস পাওয়া যায়। নিয়ে উহা সংকলিত হইল— कलक्केिब মাথার থেকে ধানী রঙের ওড়নাখানা সরে যায়, চীনের টবে হাসমুহানার গদ্ধে বাতাস ভরে বায় । তিনটে পাঠান মালী আছে নবাবজাদার বাগানে, স্থয়ারে তার ভালকুত্তো চীৎকারে রাত-জাগানে । ধানহীতে সানাই বাজে কুঞ্জবাৰুর ফটকে, দেউড়িতে ভিড় জমে গেছে নাটক দেখায় চটকে । কোমর-ঘেরা আঁচলখানা, হাতে পানের কোঁট, ঘোষপাড়াতে হনহনিয়ে চলে নাপিত-বউট।