পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(38 রবীন্দ্র-রচনাবলী ‘ফকির। আমি নিজের জন্তে এক পয়সা নিই নে। বিশ্বেশ্বর। তবে নিস্কার জন্তে । ফকির। ওঁরই সদগতির জন্তে । বিশ্বেশ্বর। বটে ? তার মানে ? ফকির। আমি তো সবই নিবেদন করি গুরুজির ভোগে । তার ফলের অংশ উনিও পাবেন। বিশ্বেশ্বর। অংশ পাবেন বটে। উনিই ফল পাবেন আঁঠিমৃদ্ধ। ছেলেপুলেরা মরবে শুকিয়ে । ফকির। আমি কিছুই জানি নে। (দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে ) যা করেন গুরু। বিশ্বেশ্বর। বেরো, বেরো আমার সামনে থেকে লক্ষ্মীছাড়া বাদর । তোর মুখ দেখতে চাই নে । [ প্রস্থান হৈমবতীর প্রবেশ ফকির। কী তব কাস্তা— হৈমবতী । কী বকছ । ফকির। কী তব কাস্তা। কোন কান্ত হায় । হৈমবর্তী। হিন্দুস্থানী ধরেছ? বাংলায় বলো । ফকির। বলি, কাদছে কে । হৈমবর্তী। তোমারই মেয়ে মিস্ত । ফকির। হায় রে, একেই বলে সংসার। কাদিয়ে ভাগিয়ে দিলে। হৈমবর্তী। কাকে বলে সংসার। ফকির । তোমাকে । হৈমবর্তী। আর, তুমি কী ! মুক্তির জাহাজ আমার ! তোমরা বাধ না, আমরাই বাধি ! ফকির। গুরু বলেছেন, বাঁধন তোমাদেরই হাতে। 噸 হৈমবর্তী। আমি তোমাকে যদি বেঁধে থাকি সাত পাকে, তোমার গুরু বেঁধেছেন সাতায় পাকে । թե ফকির। মেয়েমানুষ— কী বুঝবে তুমি তত্ত্বকথা ! কামিনী কাঞ্চন— হৈম। দেখে, ভণ্ডামি কোরো না। কাঞ্চনের দাম তোমার গুরুজি কতখানি বোঝেন সে আমাকে হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আর, কামিনীর কথা বলছ!