Ꮌ8& রবীন্দ্র-রচনাবলী গোবর ছিটিয়ে বেড়াই নে বলে আমার ধর্মজ্ঞান নেই। ব্রাহ্মণের ঘরে ওর বিয়েই বা দেব কেন, আর রাগ করবই বা কী জন্যে ? কৃষ্ণদয়াল। বল কৗ! তুমি যে বামুনের মেয়ে । আনন্দময়ী। তা হই না বামুনের মেয়ে । বামনাই করা তো আমি ছেড়েই দিয়েছি। ওই তো মহিমের বিয়ের সময় আমার খ্ৰীস্টানি চাল ব'লে কুটুম্বর গোল করতে চেয়েছিল— আমি তাই ইচ্ছে করেই তফাত হয়ে ছিলুম, কথাটি কষ্ট নি। পৃথিবীমৃদ্ধ লোক আমাকে খ্ৰীস্টান বলে, আরো কত কী কথা কয়— আমি সমস্ত মেনে নিয়েই বলি, তা খ্রীস্টান কি মানুষ নয়! তোমরাই যদি এত উচু জাত আর ভগবানের এত অাদরের তবে তিনি একবার পাঠানের, একবার মোগলের, একবার খ্রীস্টানের পায়ে এমন করে তোমাদের মাথা মুড়িয়ে দিচ্ছেন কেন ? কৃষ্ণদয়াল। ও সব অনেক কথা, তুমি মেয়েমানুষ সে-সব বুঝবে না। কিন্তু সমাজ একটা আছে– সেটা তে বোঝ, সেটা তোমার মেনে চলাই উচিত । আনন্দময়ী। আমার বুঝে কাজ নেই । আমি এই বুঝি যে, গোরাকে আমি যখন ছেলে ব’লে মানুষ করেছি エ আচার-বিচারের ভড়ং করতে গেলে সমাজ থাক্ BB B BB BB BBB BS BBB BBB BB BBB BDD BBSBBS BB লুকোষ্ট নে— আমি যে কিছু মানছি নে সে সকলকেই জানতে দিষ্ট, গ’ল সকলেরষ্ঠ ঘুণ কুড়িয়ে চুপ করে পড়ে থাকি । কেবল একটি কথা লুকিয়েছি, তারই জন্তে ভসে ভয়ে সারা হয়ে গেলুম, ঠাকুর কপন কী করেন । দেখো, আমার মনে হয় গোরাকে সকল কথা বলে ফেলি, তার পরে অদৃষ্ট্রে যা থাকে তাই হবে । কৃষ্ণদয়াল ব্যস্ত চষ্টয়; বলিয়া উঠিলেন, “ন ন', আমি বেঁচে থাকতে কোনোমতেই সে হতে পারবে না । গোরাকে তে জানষ্ট । এ কথা শুনলে সে কী ষে করে বসবে তা কিছুই বলা যায় না। তার পরে সমাজে একটা হুলস্থল পড়ে যাবে। শুধু তাই ? এ দিকে গবৰ্মেট কী করে তাও বলা যায় না । যদিও গোরীর বাপ লড়াইয়ে মারা গেছে, ওর মাও তো মরেছে জানি, কিন্তু সব হাঙ্গাম চুকে গেলে ম্যাঞ্জেস্টরিতে খবর দেওয়া উচিত ছিল । এখন এই নিয়ে যদি একটা গোলমাল উঠে পড়ে তা হলে আমার সাধন-ভজন সমস্ত মাটি হবে, আরও কী বিপদ ঘটে বলা যায় না।” আনন্দময়ী নিরুত্তর হঠয়া বসিয়া রছিলেন । কৃষ্ণদয়াল কিছুক্ষণ পরে কছিলেন, “গোরার বিবাহ সঙ্গন্ধে আমি একট পরামর্শ মনে মনে করেছি। পরেশ ভটচাজ আমার সঙ্গে একসঙ্গে পড়ত। সে স্কুল-ইনস্পেক্টরি কাজে পেনশন নিয়ে সম্প্রতি কলকাতায় এসে বসেছে। সে ঘোর ব্রাহ্ম । শুনেছি তার ঘরে অনেকগুলি মেয়েও
