পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোকসাহিত্য وهنا Gج e( কঠোর সমালোচনা করিয়া থাকেন। মেনকা তাই শুরু করিলেন, এবং শিব সেই অন্যার আচরণে ক্ষিপ্ত হইয়া শ্বশুরবাড়ির অনুশীলন সতেজে প্রচার করিয়া দিলেন । মর্তে আসি পূর্বকথা ভুলছ দেখি মনে । বারে বারে নিষেধ তোমায় করছি এ কারণে ॥ মায়ের কোলে মত্ত হয়ে ভুলছ দেখি স্বামী । তোমার পিতা কেমন রাজা তাই দেখব আমি । শুনে কথা গিরিরাজ উন্মাযুক্ত হল । জয়-জোগাড়ে অভয়ারে যাত্রা করে দিল । যে নিবে সে ক’তে পারে, নইলে এমন শক্তি কার । যাও তারিণী হরের ঘরে, এসো পুনর্বার ॥ অনুগ্রহের সংকীর্ণ মেয়াদ উত্তীর্ণ হইল, কন্যা পতিগৃহে ফিরিয়া গেল । এক্ষণে যে ছড়ার আলোচনায় প্রবৃত্ত হইতেছি তাহাতে দেবদেবীর একটি গোপন ঘরের কথা বর্ণিত আছে । শিব সঙ্গে রসরঙ্গে বসিয়ে ভবানী । কুতূহলে উমা বলেন ত্রিশূল শূলপাণি তুমি প্রভু, তুমি প্রভু ত্ৰৈলোক্যের সার । ইন্দ্র চন্দ্র কুবের বরুণ তোমারি কিংকর ॥ তোমার নারী হয়ে আমার সাধ নাহি পোরে । যেন বেদ্যা পতির কপালে প'ড়ে রমণী ঝোরে । দিব্য সোনার অলংকার না পরিলাম গায় । শামের বরন দুই শস্থ পরতে সাধ যায় ॥ দেবের কাছে মরি লাজে হাত বাড়াতে নারি । বারেক মোরে দাও শঙ্খ, তোমার ঘরে পরি ॥ ভোলানাথ ভাবিলেন, একটা কৌতুক করা যাক, প্রথমেই একটু কোন্দল বাধাইয়া তুলিলেন । ভেবে ভোলা হেসে কন শুন হে পাৰ্বতী আমি তো কড়ার ভিখারি ত্রিপুরারি শঙ্খ পাব কথি । হাতের শিঙাটা বেচলে পরে হবে না একখানা শঙ্খের কড়ি । বলদটা মূল করিলে হবে কাছনটেক কড়ি ।