পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোকসাহিত্য ఆ(t(t শঙ্খ লইয়া শাখারি সাজিয়া বাহির হইলেন – দুইবাহু শঙ্খ নিলেন নাম শ্রীরাম লক্ষ্মণ । কপটভাবে হিমালয়ে তলাসে ফেরেন । হাতে শূলী কাথে থলি শঙ্কু ফেরে গলি গলি শস্থ নিবি শস্থ নিবি এই কথাটি ব’লে ৷ সখীসঙ্গে বসে গৌরী আছে কুতূহলে । শঙ্খ দেখি শঙ্খ দেখি এই কথাটি বলে ॥ গৌরীকে দেখায়ে শাখারি শঙ্খ বার ক’ল্প । শম্বের উপরে যেন চন্দ্রের উদয় হল । মণি মুকুতা-প্রবাল-গাথা মাণিক্যের ঝুরি । নব ঝলকে বলছে যেন ইন্দ্রের বিজুলি । দেবী খুশি হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন— শাখারি ভালো এনেছ শস্থ | শঙ্খের কত নিবে তঙ্ক । দেবীর লুদ্ধভাব দেখিয়া চতুর শাখারি প্রথমে দর-দামের কথা কিছুই আলোচনা করিল না ; কহিল— গৌরী, ব্ৰহ্মলোক, বৈকুণ্ঠ, হরের কৈলাস, এ তে সবাই কয় । বুঝে দিলেই হয় । হস্ত ধুয়ে পরে শখ, দেরি উচিত নয় । শাখারি মুখে মুখে হরের স্থাবর সম্পত্তির যেরূপ ফর্দ দিল তাহাতে শাখাজোড়া যে বিশেষ সস্তায় যাইবে মহাদেবীর এমন মনে করা উচিত ছিল না । গৌরী আর মহাদেবে কথা হল দড় । সকল সখী বলে দুর্গা শঙ্খ চেয়ে পরে ॥ কেউ দিলেন তেল গামছা কেউ জলের বাটি । দেবের উরুতে হস্ত খুয়ে বসলেন পার্বতী । দয়াল শিব বলেন, শঙ্খ আমার কথাটি ধরো— দুর্গার হাতে গিয়ে শখ বস্ত্র হয়ে থাকো । শিলে নাহি ভেঙো শঙ্খ, খড়েগ নাহি ভাঙো । দুর্গার সহিত করেন বাক্যের তরঙ্গ ।