পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোকসাহিত্য ఆtఏ ডাহুকীরা যাহাই বলুক-না কেন, স্ববলের রুচি এবং নৈপুণ্যের প্রশংসা করিবার সময় श्ब्र बांझे । নানা ফুলে সাজালে ভাই, বামে দাও প্যারী। তবে তো সাজিবে তোর বিনোদবিহারী ॥ বৃন্দাবনের সর্বপ্রধান ফুলটিই বাকি ছিল । সেই অভাবটা পশু-পক্ষীদের নজরে না পড়িতে পারে, কিন্তু হ্যামকে যে বাজিতে লাগিল । কুঞ্জপানে যে দিকে ভাই চেয়ে দেখি আঁখি সুখময় কুঞ্জবন অন্ধকার দেখি । তখন লজ্জিত সুবল কহিল— এই স্থানে থাকো তুমি নবীন বংশীধারী। Ö খুজিয়া মিলাব আজ কঠিন কিশোরী। এ দিকে ললিতা-বিশাখা সখীদের মাঝখানে রাধিকা বসিয়া আছেন। সুবলকে দেখিয়া সবাই হয়ে হরষিত— এস এস বসো স্থবল একি অচরিত ॥ সুবল সংবাদ দিল— মন্দ মন্দ বহিতেছে বসস্তের বা পত্র পড়ে গলি । কাদিয়া বলেন কৃষ্ণ কোথায় কিশোরী ॥ কৃষ্ণের দুরবস্থার কথা শুনিয়া রাধা কাদিয়া উঠিয়া কহিলেন— সাধ করে হার গেথেছি সই দিব কার গলে । ঝাপ দিয়ে মরিব আজ যমুনার জলে । রাই অনাবশ্বক এইরূপ একটা দুঃসাধ্য দুঃসাহসিক ব্যাপার ঘটাইবার জন্য মুহুর্তের মধ্যে কৃতসংকল্প হইয়া উঠিলেন । কিন্তু অবশেষে সর্থীদের সহিত রফা করিয়া বলিলেন— যেই সাজে আছি আমি এই বৃন্দাবনে সেই সাজে যাব আমি কৃষ্ণদরশনে ॥ দাড়া লো দাড়া লো সই বলে সহচরী। ধীরে যাও, ফিরে চাও রাধিকাসুন্দরী। রাধিকা সখীদের ডাকিয়া বলিলেন— তোমরা গো পিছে এল মাথে করে দই । নাথের কুশল হোক, বাটৎ এল সই ৷