পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী سنوا দুকড়ি । ( মাথা চুলকাইয়া হাসিয়া ) আ— ও একটা কথার কথা । শোন কেন ! কে বললে দিয়েছি ? মনে করে! যদি দিয়েই থাকি, তা, হয়েছে কী ! এত গোলের আবখ্যক কী ! কেরানি। আহা, কী বিনয় ! পাঁচ হাজার টাকা নগদ দিয়ে গোপন করবার চেষ্টা, সাধারণ লোকের কাজ নয় । ভূত্যের প্রবেশ ভৃত্য । নীচের ঘরে বিস্তর লোক জমা হয়েছে। দুকড়ি । (স্বগত) দেখেছ! এক দিনেই আমার পসার বেড়ে গেছে । ( সানন্দে ) একে একে তাদের উপরে নিয়ে আয় । আর পান-তামাক দিয়ে যা । প্রথম ব্যক্তির প্রবেশ তুকড়ি । ( চৌকি সরাইয়া ) আসুন— বসুন । মশায়, তামাক ইচ্ছে করুন । ওরে— পান দিয়ে যা । প্রথম ! ( স্বগত) আহা, কী অমায়িক প্রকৃতি । এর কাছে কামনাসিস্কি হবে না তে কার কাছে হবে ! ছকড়ি। মশায়ের কী অভিপ্ৰায়ে আগমন ? প্রথম । আপনার বদান্যতা দেশবিখ্যাত । জুকড়ি । ও-সব গুজবের কথা শোনেন কেন ? প্রথম । কী বিনয় । কেবল মশায়ের নামই শ্রত ছিলম, আজ চক্ষকর্ণের বিবাদ ভঞ্জন হল । * তুকড়ি । (স্বগত) এখন আসল কথাটা যে পাড়লে হয় । বিস্তর লেীপ বসে আছে । ( প্রকাশ্বে ) তা, মশায়ের কী আবশ্বক ? প্রথম । দেশের উন্নতি-উদ্দেশে হৃদয়ের— তুকড়ি । আজ্ঞে, সে-সব কথা বলাই বাহুল্য— প্রথম। তা ঠিক। মশায়ের মতো মহাহভব ব্যক্তি র্যারা ভারতভূমির— দুকড়ি । সমস্ত মানছি মশায়, অতএব ও অংশটুকু ৪ ছেড়ে দিন । তার পরে— প্রথম । বিনয়ী লোকের স্বভাবই এই যে, নিজের গুণানুবাদ– দুকড়ি । রক্ষে করুন মশায়, আসল কথাটা বলন । প্রথম। আসল কথা কী জানেন— দিনে দিনে আমাদের দেশ অধোগতি প্রাপ্ত হচ্ছে—