পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दळदक চলেছিস রে চলাচলের পথে কোন সারথির উধাও মনোরথে ? নিমেষতরে যুগে যুগান্তরে দিবে না। রাশি টিলা । শিশু হয়ে এলি মায়ের কোলে, সেদিন গেল ভেসে । যৌবনেরই বিষম দোলার দোলে কাটল কেঁদে হেসে। । রাত্রে যখন হচ্ছিল দীপ জ্বালা কোথায় ছিল আজকে দিনের পালা । আবার কবে কী সুর বাধা হবে আজকে পালার শেষে । চলতে যাদের হবে চিরকালই নাইকো তাদের ভার । কোথা তাদের রইবে থলি-থালি, কোথা বা সংসার । দেহযাত্রা মেঘের খেয়া বাওয়া, মন তাহাদের ঘূর্ণ-পাকের হাওয়া ; বেঁকে বেঁকে আকার ঐকে ঐকে চলছে নিরাকার । ওরে পথিক, ধরু-না চলার গান, বাজা রে একতারা । এই খুশিতেই মেতে উঠুক প্রাণনাইকো কুল-কিনারা । পায়ে পায়ে পথের ধারে ধারে কান্ন-হাসির ফুল ফুটিয়ে যা রে, প্ৰাণ-বসন্তে তুই-যে দখিন হাওয়া গৃহ-বাঁধন-হারা ! এই জনমের এই রূপের এই খেলা এবার করি শেষ ; সন্ধ্যা হল, ফুরিয়ে এল বেলা, , বদল করি বেশ । যাবার কালে মুখ ফিরিয়ে পিছু কান্না আমার ছড়িয়ে যাব কিছু, সামনে সে-ও প্রেমের কান্দন ভরা চির-নিরুদেশ । ] SSV)