পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী ܓ ܠܘ প্রথম বালক । আচ্ছা, একটু, খুব একটুখানি বল ভাই । , সুভদ্র । আমি দেখলুম- সেখানে পাহাড়, গোরু চরছেবালকগণ । (কানে আঙুল দিয়া) ও বাবা ! না না, আর শুনব না। আর বোলো না। সুভদ্র। ঐ যে উপাধ্যায়মশায় আসছেন। চল চল-আর না । পঞ্চক । , কেন । এখন তোমাদের কী । প্রথম বালক । বেশ, তাও জান না বুঝি । আজ যে পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র१थवक । ऊाठ की । দ্বিতীয় বালক । আজ কাকিনী সরোবরের নৈর্ধত-কোণে টোড়াসাপের খোলস খুঁজতে হবে না ? পঞ্চক । কেন রে ? প্রথম বালক । তুমি কিছু জান না পঞ্চকদাদা ! সেই খোলস কালো রঙের ঘোড়ার লেজের সাতগাছি চুল দিয়ে বেঁধে পুড়িয়ে ধোয়া করতে হবে যে । দ্বিতীয় বালক । আজ যে পিতৃপুরুষেরা সেই ধোয়া ব্ৰাণ করতে আসবেন। পঞ্চক। তাতে তাদের কষ্ট হবে না ? Y প্রথম বালক । পুণ্য হবে যে, ভয়ানক পুণ্য । [ বালকগণের প্রস্থান উপাধ্যায়ের প্রবেশ উপাধ্যায় । পঞ্চককে শিশুদের দলেই প্ৰায় দেখতে পাই । পঞ্চক । এই আয়তনে ওদের সঙ্গেই আমার বুদ্ধির একটু মিল হয় । ওরা একটু বড়ো হলেই আর V52N- ቩ উপাধ্যায়। কিন্তু তোমার সংসর্গে যে ওরা অসংযত হয়ে উঠছে । সেদিন পটুবর্ম আমার কাছে এসে নালিশ করেছে, শুক্রবারের প্রথম প্রহরেই উপতিষ্য তার গায়ের উপর হাই তুলে দিয়েছে। পঞ্চক। তা দিয়েছে বটে। আমি স্বয়ং সেখানে উপস্থিত ছিলুম। উপাধ্যায় । সে আমি অনুমানেই বুঝেছি, নইলে এতবড়ো আয়ুক্ষয়কর অনিয়মটা ঘটবে কেন । শুনেছি, তুমি নাকি সকলের সাহস বাড়িয়ে দেবার জন্য পটুবর্মকে ডেকে তোমার গায়ের উপর একশো বার হাই তুলতে বলেছিলে ? পঞ্চক । আপনি ভুল শুনেছেন । উপাধ্যায়। ভুল শুনেছি ?” পঞ্চক। একলা পটুবর্মকে নয়, সেখানে যত ছেলে ছিল প্রত্যেককেই আমার গায়ের উপর অন্তত দশটা করে হাই তুলে যাবার জন্যে ডেকেছিলুম- পক্ষপাত করি নি । উপাধ্যায় । প্ৰত্যেককেই ডেকেছিলে ? পঞ্চক। প্রত্যেককেই। আপনি বরঞ্চ জিজ্ঞাসা করে জানবেন। কেউ সাহস করে এগােল না। ক্ষয় হয়ে গিয়েও আরো অনেকটা বাকি থাকে, সেই উদ্যবৃত্তটাকে নিয়ে য়ে কী হবে তাই স্থির করতে না পেরে তারা মহাপঞ্চকদাদাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে গেল, তাতেই তো আমি ধরা পড়ে গেছি | উপাধ্যায় । দেখো, তুমি মহাপঞ্চকের ভাই বলে এতদিন অনেক সহ্য করেছি, কিন্তু আর চলবে না । আমাদের গুরু আসছেন শুনেছি ? পঞ্চক । গুরু আসছেন ? নিশ্চয় সংবাদ পেয়েছেন ? উপাধ্যায় । ইহা । কিন্তু এতে তোমার উৎসাহের তো কোনো কারণ নেই। পঞ্চক । আমারই তো গুরুর দরকার বেশি, আমার যে কিছুই শেখা হয় নি।