অচলায়তন V8S উপাধ্যায়। তার চেয়ে ঢের স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে শত্রুসৈন্যদের রক্তবর্ণ টুপিগুলো । ছাত্ৰগণ। কী সর্বনাশ ! A সঞ্জীব । কিসের মন্ত্র তোমার মহাপঞ্চক ! , তৃণাঞ্জন। আমি তো তখনই বলেছিলুম। এ-সব কাজ এই কঁচাবয়সের পুঁথিপড়া অকালপকদের দিয়ে হবার নয় । বিশ্বম্ভর । কিন্তু এখন করা যায় কী ? তৃণাঞ্জন। আমাদের আচার্যদেবকে এখনই ফিরিয়ে আনি গে। তিনি থাকলে এ বিপত্তি ঘটতেই পাৱত না । হাজার হােক লোকটা পাকা । সঞ্জীব। কিন্তু দেখো মহাপঞ্চক, আমাদের আয়তনের যদি কোনাে বিপত্তি ঘটে তা হলে তোমাকে টুকরো টুকরো করে ছিড়ে ফেলব । উপাধ্যায়। সে পরিশ্রমটা তোমাদের করতে হবে না, উপযুক্ত লোক আসছে। মহাপঞ্চক | তোমরা মিথ্যা বিচলিত হচ্ছি। বাইরের প্রাচীর ভাঙতে পারে, কিন্তু ভিতরের লোহার দরজা বন্ধ আছে। সে যখন ভাঙবে তখন চন্দ্ৰসূৰ্য নিবে যাবে। আমি অভয় দিচ্ছি। তোমরা স্থির হয়ে দাড়িয়ে অচলায়তনের রক্ষক-দেবতার আশ্চর্য শক্তি দেখে নাও । উপাধ্যায়। তার চেয়ে দেখি কোন দিক দিয়ে বেরোবার রাস্তা । তৃণাঞ্জন। আমাদেরও তো সেই ইচ্ছা । কিন্তু এখান থেকে বেরোবার পথ যে জানিই নে । কোনোদিন বেরোতে হবে বলে স্বপ্নেও মনে করি নি । সঞ্জীব । শুনছ- ঐ শুনিছ, ভেঙে পড়ল সব । ছাত্ৰগণ । কী হবে। আমাদের ! নিশ্চয় দরজা ভেঙেছে । তৃণাঞ্জন | ধরে মহাপঞ্চককে । বাধো ওকে । একজটা দেবীর কাছে ওকে বলি দেবে চলো । মহাপঞ্চক । সেই কথাই ভালো । দেবীর কাছে আমাকে বলি দেবে চলো । তার রোষ শান্তি হবে । এমন নিম্পাপ বলি তিনি আর পাবেন কোথায় । বালীকদলের প্রবেশ উপাধ্যায়। কী রে, তোরা সব নৃত্য করছিস কেন ? প্রথম বালক । আজ এ কী মজা হল ! উপাধ্যায়। মজাটা কী রকম শুনি ? দ্বিতীয় বালক । আজ চর দিক থেকেই আলো আসছে— সব যেন ফাক হয়ে গেছে। তৃতীয় বালক । এত আলো তো আমরা কোনোদিন দেখি নি । প্রথম বালক । কোথাকার পাখির ডাক এখান থেকেই শোনা যাচ্ছে । দ্বিতীয় বালক । এ-সব পাখির ডাক আমরা তো কোনোদিন শুনি নি । এ তো আমাদের খাচার ময়নার মতো একেবারেই নয় । * প্রথম বালক । আজ আমাদের খুব ছুটতে ইচ্ছে করছে। তাতে কি দোষ হবে মহাপঞ্চকদাদা ? । আজকের কথা ঠিক বলতে পারছি নে । আজ কোনো নিয়ম রক্ষা করা চলবে বলে ধা হচ্ছে না । প্ৰথম বালক । আজ তা হলে আমাদের ষড়াসন বন্ধ ? মহাপঞ্চক । হা, বন্ধ । 彝 সকলে ; ওরে কী মজা রে মজা ! দ্বিতীয় বালক । আজ পঙক্তিধীেতির দরকার নেই ? মহাপঞ্চক । না ।
- াকলে । ওরে কী মজা ! আঃ আজি চার দিকে কী আলো ।
