পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VO8 N রবীন্দ্র-রচনাবলী জয়োত্তম । আমারও মনটা নেচে উঠেছে বিশ্বম্ভর । এ কি ভয়, না আনন্দ, কিছুই বুঝতে পারছি নে । বিশ্বম্ভর । আজ একটা কাণ্ড হচ্ছে জয়োত্তম । সঞ্জীৰ কিন্তু ব্যাপারটা যে কীভােব উঠতে পারছি না। ওরে ছেলেগুলাে, তাের হঠাৎ এত গুণ হয়ে উঠলি কেন বল দেখি । ] প্ৰথম বালক । দেখছি না। সমস্ত আকাশটা যেন ঘরের মধ্যে দৌড়ে এসেছে । দ্বিতীয় বালক । মনে হচ্ছে ছুটি- আমাদের ছুটি । তৃতীয় বালক । সকাল থেকে পঞ্চকদাদার সেই গানটা কেবলই আমরা গেয়ে বেড়াচ্ছি। জয়োত্তম । কোন গান ? প্ৰথম বালক । সেই যে আলো, আমার আলো, ওগো আলো ভুবনভরা । उigों न्०-(१ों\3शों अभी আলো হৃদয়হর । নাচে আলো নাচে- ও ভাই আমার প্রাণের কাছে, বাজে আলো বাজে- ও ভাই 帶 হৃদয়-বীণার মাঝে ; জাগে আকাশ ছোটে বাতাস হাসে সকল ধরা । আলো, আমার আলো, ওগো আলো ভুবনভরা । আলোর স্রোতে পাল হাজার প্রজাপতি । আলোর ঢেউয়ে উঠল নেচে মল্লিকা মালতী । মেঘে মেঘে সোনা- ও ভাই যায় না মানিক গোনা, পাতায় পাতায় হাসি- ও ভাই সুরনদীর কুল ডুবেছে সুধা-নিঝর-ঝরা । আলো, আমার আলো, ওগো আলো ভুবন ভরা । [বালকদের প্রস্থান জয়োত্তম। দেখো মহাপঞ্চকদাদা, আমার মনে হচ্ছে ভয় কিছুই নেই- নইলে ছেলেদের মন এমন অকারণে খুশি হয়ে উঠল। কেন। 钴 মহাপঞ্চক । ভয় নেই। সে তো আমি বরাবর বলে আসছি ।