পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাল্গুনী Vy প্ৰথম দৃশ্য সূত্রপাত । 에제 যুবকদলের প্রবেশ 이R ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনেডালে ডালে ফুলে ফলে পাতায় পাতায় রে, আড়ালে আড়ালে কোণে কোণে । রঙে রঙে রঙিল আকাশ, গানে গানে নিখিল উদাস, যেন চল-চঞ্চল নব পল্লবদল মৰ্মরে মোর মনে মনে । ফাগুন লেগেছে বনে বনে । হেরো হেরো অবনীর রঙ্গ গগনের করে তপোভঙ্গ । হাসির আঘাতে তার মীেন রহে না। আর কেঁপে কেঁপে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে । । বাতাস ছুটিছে বনময় রে, । ফুলের না জানে পরিচয় রে । তাই বুঝি বারে বারে কুঞ্জের দ্বারে দ্বারে শুধায়ে ফিরিছে জনে জনে । ফাগুন লেগেছে বনে বনে ॥ " ফাগুনের গুণ আছে রে ভাই, গুণ আছে । বুঝলি কী করে । , নইলে আমাদের এই দাদাকে বাইরে টেনে আনে কিসের জোরে। তাই তো-দাদা আমাদের চৌপদীছন্দের বোঝাই নীেকো-ফাগুনের গুণে বাধা পড়ে কাগজ-কলমের উলটাে মুখে উজিয়ে চলেছে। চন্দ্ৰহাস । ওরে ফাগুনের গুণ নয় রে । আমি চন্দ্ৰহাস, দাদার তুলট কাগজের হলদে পাতাগুলো । পিয়াল বনের সবুজ পাতার মধ্যে লুকিয়ে রেখেছি ; দাদা খুঁজতে বের হয়েছে। তুলট কাগজগুলো গেছে। আপদ গেছে, কিন্তু দাদার সাদা চাদরটা তো কেড়ে নিতে হচ্ছে। চন্দ্ৰহাস । তাই তো, আজ পৃথিবীর ধুলোমাটি পর্যন্ত শিউরে উঠেছে আর এ পর্যন্ত দাদার গায়ে বসন্তর আমেজ লাগল না ! দাদা। আহা, কী মুশকিল। বয়েস হয়েছে যে। " পৃথিবীর বয়েস অন্তত তোমার চেয়ে কম নয়, কিন্তু নবীন হতে ওর লজ্জা নেই। চন্দ্ৰহাস । দাদা, তুমি বসে বসে চৌপদী লিখছি, আর এই চেয়ে দেখো, সমস্ত জল স্থল কেবল নবীন হবার তপস্যা করছে। দাদা, তুমি কোটরে বসে কবিতা লেখা কী করে। দাদা। আমার কবিতা তো তোদের কবিশেখরের কল্পমঞ্জরীর মতো শৌখিন কাব্যের ফুলের চাষ