পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাল্গুনী Vo(? তার কথা লেখা আছে । - সর্দার। তার চেহারাটা কী রকম। কেউ সাদা, মড়ার মাথার খুলির মতো ; কেউ বলে, সে কালো, মড়ার চোখের কোটরের বলে, Q কেন, তুমি কি তার খবর রাখ না। সর্দার। नद्धि । उाभि उांक विशान कनेि (न । ঃ, তুমি যে উলটাে কথা বললে। সেই বুড়েই তো সব চেয়ে বেশি করে আছে। বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের পাজারের ভিতরে তার বাসা । পণ্ডিতজি বলে, বিশ্বাস যদি কাউকে না করতে হয় সে কেবল আমাদের । আমরা আছি কি নেই তার কোনো ঠিকানাই নেই। চন্দ্ৰহাস । আমরা যে ভারি কঁচা, আমরা যে একেবারে নতুন, ভবের রাজ্যে আমাদের পাকা দলিল दां সর্দার । পুঁথির বুলির দেশে ঢুকলে যে একেবারে ফ্যাকাশে হয়ে যাবি। কার্তিকমাসের সাদা কুয়াশার মতো । তোদের মনের মধ্যে একটুও রক্তের রঙ থাকবে না। আচ্ছা, এক কাজ করা। তোরা খেলার কথা ভাবছিলি ? সর্দার। তারা সবাই মিলে বুড়োটাকে ধরে নিয়ে আয়। নতুন বটে, কিন্তু এটা ঠিক খেলা কি না জানি নে । সর্দার । আমি বলছি, এ তোরা পারবি নে । পারব তোমার সর্দারি আমরা কেড়ে নেব । সর্দার। তা হলে তো বঁচি রে ! তোদের সর্দারি কি সোজা কাজ। এমনই অস্থির করে রেখেছিস যে হাড়গুলো সুদ্ধ উলটাে-পালটা হয়ে গেছে।--তা হলে রইল কথা ? চন্দ্ৰহাস । হা, রইল কথা। দোলপূর্ণিমার দিনে তাকে ঝোলার উপর দোলাতে দোলাতে তোমার কাছে হাজির করে দেব । কিন্তু তাকে নিয়ে কী করবে। সর্দার। সর্দার । বসন্ত-উৎসব করব। বল কী । তা হলে যে আমের বোলগুলো ধরতে ধরতেই আঁটি হয়ে যাবে। আর কোকিলগুলো পেঁচা হয়ে সব লক্ষ্মীর খোজে বেরবে। চন্দ্ৰহাস । আর ভ্রমরগুলো অনুস্বার বিসর্গের চোটে বাতাসটাকে ঘুলিয়ে দিয়ে মন্তর জপতে থাকবে। ] -