পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8の8 রবীন্দ্র-রচনাবলী তা হলে আমরা নড়ি। পাড়ার মানুষ আমাদের সইতে পারে না । পাড়াকে আমরা নাড়া দিই, পাড়া আমাদের তাড়া দেয় । ঐ যে চৌপদীর গন্ধ পেয়েছে, মউমাছির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে । পাড়ার লোক । ওরে মাঝির এখানে পাঠ হবে । কে গো । তোমরাই পাঠ করবে নাকি । আমরা অন্য অনেক অসহ্য উৎপাত করি কিন্তু পাঠ করি নে । ঐ পুণ্যের জোরেই আমরা রক্ষা পাব। পাড়ার লোক । এরা বলে কী রে । হেঁয়ালি নাকি । চন্দ্ৰহাস । আমরা যা নিজে বুঝি তাই বলি ; হঠাৎ হেঁয়ালি বলে ভ্ৰম হয়। আর তোমরা যা খুবই বোঝা দাদা। তাই তোমাদের বুঝিয়ে বলবে, হঠাৎ গভীর জ্ঞানের কথা বলে মনে হবে। একজন বালকের প্রবেশ বালক । আমি পারলুম না । কিছুতে তাকে ধরতে পারলুম না। কাকে ভাই। বালক । ঐ তোমরা যে-বুড়োর খোজ করছিলে তাকে । তাকে দেখেছি নাকি । বালক । সে বোধ হয় রথে চড়ে গেল । কোন দিকে । বালক । কিছুই ঠাওরাতে পারলুম না । কিন্তু তার চাকার ঘূর্ণিহাওয়ায় এখনো ধুলো উড়ছে। চল। তবে চল। শুকনো পাতায় আকাশ ছেয়ে দিয়ে গেছে । [ প্ৰস্থান কোটাল । পাগল ! উন্মাদ পাগল ! প্রবীণের পরাভব S বসন্তের হাসির গান ওর ভাব দেখে যে পায় হাসি। হায় হায় রে । মরণ-আয়োজনের মাঝে বসে আছেন কিসের কাজে প্ৰবীণ প্ৰাচীন প্রবাসী । হায় হয় রে । এবার দেশে যাবার দিনে আপনাকে ও নিক-না চিনে, সবাই মিলে—সাজাও ওকে । নবীন রূপের সন্ন্যাসী । হায় হায় রে । এবার ওকে মজিয়ে দে রে হিসাব-ভুলের বিষম ফেরে । ,