পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७०२ রবীন্দ্র-রচনাবলী নিয়মকে সীমাবদ্ধ করিলে সংগত হয় না । ইকারের পরবতী আকারমাত্রের প্রতিই এই নিয়ম প্রয়োগ করিয়া দেখা কর্তব্য । হইয়া- হয়ে হিসাব।— হিসেব লাইয়া- লয়ে মাহিনা- মাইনে f>ồ- f>{ở ভিক্ষা- ভিক্ষে gिा- gिg শিক্ষা- শিক্ষে শিকা- শিকে নিন্দা- নিন্দে বিলাত- বিলেত বিনা- বিনে এমন-কি, যেখানে অপভ্রংশে মূল শব্দের ইকার লুপ্ত হইয়া যায়, সেখানেও এ নিয়ম খাটে। যেমন : করিয়া- ক’রে মরিচা- মর্চে সরিষা- সর্ষে আ এবং ই মিলিত হইয়া যুক্তস্বর ‘ঐ হয়। এজন্য “ঐ” স্বরের পরেও আ স্বরবর্ণ এ হইয়া যায় ; (સાન : কৈলাস-কৈলেস Č\53jš– (\OG3|3 কেবল ইহাই নহে। যফলার সহিত সংযুক্ত আকারও একারে পরিণত হয়। কারণ, যফলা ই এবং অ-এর যুক্তস্বর ; যথা : उउठांजन- भडन <èrJ— <PGNJ বন্য- বন্যে श७Jों- श७J আমরা আ স্বরবর্ণের সমালোচনাস্থলে লিখিয়ছিলাম ক্ষ-র পূর্ববতী আকার 'ও' হইয়া যায়- ; যেমন, লক্ষ (লোক্ষ) পক্ষ (পােক্ষ) ইত্যাদি। যে-কারণবশত ক্ষ-র পূর্ববতী অ ওকারে পরিণত হয়, সেই কারণেই ক্ষ-সংযুক্ত আকার এ হইয়া যায় ; যথা, রক্ষা— রক্ষে । বাংলায় ক্ষা-অন্ত শব্দের উদাহরণ অধিক না থাকতে এই একটি দৃষ্টান্ত দিয়াই নিরস্ত হইলাম। যফলা এবং ক্ষ সম্বন্ধে একটি কথা বলিয়া রাখি। যফলা ও ক্ষী-সংযুক্ত আকার একারে পরিণত হয় বটে। কিন্তু আদ্যক্ষরে এ নিয়ম খাটে না ; যেমন, ত্যাগ ন্যায় ক্ষার ক্ষালন ইত্যাদি । বাংলার অনেকগুলি আকারান্ত ক্রিয়াপদ কালক্রমে একারান্ত হইয়া আসিয়াছে। পূর্বে ছিল, করিলা খাইলা করিতা খাইতা করিবা খাইবা ; এখন হইয়াছে, করিলে খাইলে করিতে খাইতে করিবে খাইবে । পূর্ববতী ইকারের প্রভাবেই যে আ স্বরবর্ণের ক্রমশ এইরূপ দুৰ্গতি হইয়াছে, তাহা বলা বাহুল্য। পূর্বেই থাকিলে যেমন পরবতী আ ‘এ’ হইয়া যায় তেমনই পূর্বে উ থাকিলে পরবতী আ ‘ও’ হইয়া যায়, এইরূপ উদাহরণ বিস্তর আছে ; যথা : | यूDों- यूpों মুঠ-মুঠো কুলা-কুলো । চুলা- চুলো । কুয়া- কুয়ো । চুমা- চুমো ।