পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰন্থপরিচয় Գ ԳÇ স্পষ্ট উল্লেখ না থাকিলেও গীতালি রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও প্রতিমা দেবীকে উৎসগীকৃত, এবং গ্রন্থারম্ভে মুদ্রিত ‘আশীৰ্বাদ” কবিতাটি তীহাদের উদ্দেশেই রচিত। এই কবিতাটির মূল পাঠ নিম্নে মুদ্রিত হইল আজ আমি তোমাদের সঁপিলাম তারেতোমরা তাহারি ধন আলোকে আঁধারে । জেগেছি। অনেক রাত্রি ভেবেছি অনেকক্ষণেক বা আশা হয়, আশঙ্কা ক্ষণেক । মনে ভাবি আমি ছাড়া নাই বুঝি কেউ । এমন করিয়া বলো কাটে কত কাল, মাঝি যে তাহারি হাতে ছেড়ে দিনু হাল । [পরবর্তী ছয় ছত্র অপরিবর্তিত] , কবিতাটির আরো পরিবর্তনের বিষয় চারুচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘রবিরশ্মিতে উল্লেখ করিয়াছেন। “ক্ষণেক বা আশা হয় আশঙ্কা ক্ষণেক ছত্র পরিবর্তন করিয়া লিখিয়াছিলেন “সংসারে ক্ষণেক । আশা, আশঙ্কা ক্ষণেক” ; “এমন করিয়া বলো কাটে কত কাল ছত্র পরিবর্তন করিয়া লিখিয়াছিলেন “এ তরী আমরি বলে করেছিনু ভেবে । এই ছত্র আরো পরিবর্তন করিয়া লিখিয়াছিলেন “এ তরী আমারি বলে এত মারি ভেবে । পরের ছত্ৰে “হাল এর পরিবর্তে “এবে লিখিয়াছিলেন । ‘সংসারে ক্ষণেক আশা, আশঙ্কা ক্ষণেক ছত্রের পরে যোগ করিয়াছিলেন সত্য ঢাকা পড়ে মোরি ভয়ে ভাবনায়, " মিথ্যার মুরতি গড়ি ব্যর্থ বেদনায় । বিশ্ব আনন্দের সৃষ্টি, আনন্দেই ভরামাের সৃষ্টি মায়া দিয়ে স্বপ্ন দিয়ে গড়া। বহুকাল প্রচলিত একটি মুদ্রাণপ্ৰমাদ পাণ্ডুলিপিদুষ্টে গীতালির শ্রাবণ ১৩৮৯ সংস্করণে সংশোধিত হইয়াছে : সংখ্যা ১০৬, শেষ স্তবক, প্রথম ছত্র ; “তোর' স্থলে “তারাঁ । রবীন্দ্র-রচনাবলীর বর্তমান (সুলভ) সংস্করণেও সংশোধিত হইল। বর্তমান গ্রন্থপরিচয়-ভুক্ত ‘গীতালির ২৩-সংখ্যক গানটি দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপিসহ “পল্লীবাণী’ পত্রিকার আশ্বিন ১৩২৬ সংখ্যায় প্রকাশিত হইয়াছিল । ইহাতে প্ৰথম ছত্ৰে ‘মিথ্যা” স্থলে “মিথ্যে এবং অষ্টম ছত্ৰে ‘যে স্থলে “তো পাঠান্তর আছে। সম্প্রতি “বিশ্বভারতী পত্রিকা’র মাঘ-আষাঢ় ১৩৯২-৯৩ ‘বিশেষ সংখ্যায় পুনমুদ্রিত হইয়াছে। সংযোজন গীতাঞ্জলি গীতিমাল্য ও গীতালি কাব্যের পাণ্ডুলিপি-পুস্তকে সমসাময়িক আরো কয়েকটি গানের পাণ্ডুলিপি পাওয়া গিয়াছে ; তাহার মধ্যে কয়েকটি গান ইতিপূর্বে শান্তিনিকেতন পত্ৰ (১৩২৬) ব্যতীত অন্য কোথাও প্রকাশিত হয় নাই, কয়েকটি গান বিভিন্ন গানের সংগ্রহে প্রকাশিত হইয়া থাকিলেও রবীন্দ্র-রচনাবলীর কোনো খণ্ডে এযাবৎ প্রকাশিত হয় নাই। ‘অল্প সময়ের ব্যবধানে যে-সামন্ত গান পরে পরে রচিত হইয়াছে তাহদের পরস্পরের মধ্যে একটি ভাবের ঐক্য থাকা সম্ভবপর মনে করিয়া সংযোজন-বিভাগে সেগুলি মুদ্রিত হইল। রাজা