পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী "ט-טף দীনবন্ধু সি এফ. এন্ড রুজকেও কবি অনুরূপ কথাই লেখেন— I remember, at the time when I wrote it The Post Office, my own feeling which inspired me to write it. Amal represents the man whose soul has received the call of the open road- he seeks freedom from the enclosure of habits sanctioned by the prudent and from walls of rigid opinion built for him by the respectable. -dated June 4, 1921, included in Letters to a Friend. রবীন্দ্রনাথ ১৭, ২ ১৯৩৯ তারিখের একখানি চিঠিতে পরিহাসচ্ছলে লেখেন, “ডাকঘরের অমল মরেছে বলে সন্দেহ যারা করে তারা অবিশ্বাসী- রাজবৈদ্যের হাতে কেউ মরে না- কবিরাজটা ওকে মারতে বসেছিল বটে ।” প্ৰসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা যাইতে পারে। ১৯১৭ অক্টোবরের জোড়াসাকোর ‘বিচিত্ৰা’ ভবনে ডাকঘরের যে অভিনয় হয় তাহার প্রযোজনাতে কয়েকটি গান ছিল । “আমি চঞ্চল হে’, ‘গ্রামছাড়া ওই রাঙামটির পথ’ এবং “বেলা গেল তোমার পথ চেয়ে” এই তিনটি গানের উল্লেখ দেখা যায় সীতা দেবী -প্ৰণীত ‘পুণ্যস্মৃতি” গ্রন্থে (শ্রাবণ ১৩৪৯, পৃ ২৫৮-৬০) । (শেষ দুটি গান রবীন্দ্রনাথ গাহিয়াছিলেন এবং তিনি ঠাকুরদার ভূমিকাতেও অভিনয় করিয়াছিলেন এরূপ জানা যায় ।) ১৯১৭ ডিসেম্বরের শেষে ও ১৯১৮ জানুয়ারির প্রথমে ডাকঘরের পুনরাভিনয় হইয়াছিল মনে হয়। কারণ, ১৯১৭ খৃস্টাব্দের ২৬, ২৮, ২৯ ডিসেম্বর তারিখে কলিকাতায় ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশন হয় ; জানা যায়। ঐ সময়ে লোকমান্য টিলক, মিসেস বেসান্ট, গান্ধীজি, মালদ্বীয়জি প্রভৃতি নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্ৰণ করিয়া একদিন বিশেষ অভিনয়ের ব্যবস্থা হইয়াছিল। তদুপলক্ষে মুদ্রিত বা পরে পুনমুদ্রিত ৪ জানুয়ারির ১৯১৮ তারিখের ইংরেজি অনুষ্ঠানপত্রে জানা যায় যে, ‘ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে’ গানটি এই অভিনয়ে গাওয়া হয় । ইংরাজি অনুষ্ঠানপত্রে আরো জানি, ঠাকুরদাই (রবীন্দ্রনাথ) কখনো ভিক্ষুক কখনো প্রহরী আর কখনো ফকির সাজিয়াছেন । সুতরাং মোটের উপর ইহা বলা যাইতে পারে যে, ১৯১৭ খৃস্টাব্দের শেষভাগে ও ১৯১৮ সনের জানুয়ারিতে ‘বিচিত্ৰা’ ভবনে ডাকঘরের অভিনয়কালে, বিভিন্ন সময়ে, এই গানগুলি ব্যবহৃত হইয়া থাকিবে আমি চঞ্চল হে গ্ৰামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ 6व् ८व्) (उ १° 0b ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে উক্ত অভিনয়ে রবীন্দ্রনাথ, গগনেন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ প্রভৃতি ঠাকুরপরিবারের অনেকেই অভিনয় করেন, অমলের ভূমিকায় শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের আশামুকুল দাস এবং সুধার ভূমিকায় অবনীন্দ্রনাথের কনিষ্ঠা কন্যা সুরূপা । ১৩৪৬ বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ ডাকঘর নাটকের নবতর অভিনয়ের উদযোগ করেন ও তদুপলক্ষে অনেকগুলি নূতন গান রচনাও করেন । গানগুলি বর্তমানে গীতবিতান গ্রন্থে সংকলিত রহিয়াছে ; গীতিসংযুক্ত বা পরিবর্তিত ‘ডাকঘর নাটকের কোনাে পাণ্ডুলিপি অদ্যাপি পাওয়া যায় নাই। (শেষ পর্যন্ত কবির ভগ্নস্বাস্থ্যে অনুচিত পীড়নের শঙ্কায়, এই নাট্যাভিনয়ের চেষ্টা হইতে র্তাহাকে নিবৃত্ত করা হয়)— নিম্নে গানগুলির উল্লেখ করা গেল ১ আমরা দূর আকাশের নেশায় মাতাল ২ বাহির হলোম আমি আপন ভিতর হতে ፆ