রবীন্দ্র-রচনাবলী
মাঝে মাঝে মন যায় বিগড়ে যখন মনে পড়ে পাহাড়তলিতে বসন্তমঞ্জিল, তার চাতাল,
আর শর্বতের পেয়ালা হাতে রেশমি সাজে যুবতীর দল । এ দিকে উটওয়ালারা গাল পাড়ে, গনগন করে রাগে,
ছুটে পালায় মদ আর মেয়ের খোজে। মশাল যায় নিভে, মাথা রাখবার জায়গা জোটে না । নগরে যাই, সেখানে বৈরিতা ; নগরীতে সন্দেহ । গ্রামগুলো নোংরা, তারা চড়া দাম হঁাকে । কঠিন মুশকিল।
শেষে ঠাওরালেম চলব সারারাত,
মাঝে মাঝে নেব ঝিমিয়ে আর কানে কানে কেউ বা গান গবে— এ সমস্তই পাগলামি ।
ভোরের দিকে এলেম যেখানে মিঠে শীত সেই পাহাড়ের খদে ; সেখানে বরফ-সীমার নীচেটা ভিজে-ভিজে, ঘন গাছ-গাছালির গন্ধ ।
নদী চলেছে ছুটে, জলযন্ত্রের চাকা আঁধারকে মারছে চাপড় । দিগন্তের গায়ে তিনটে গাছ দাড়িয়ে, বুড়ে সাদা ঘোড়াটা মাঠ বেয়ে দৌড় দিয়েছে। পৌছলেম শরাবখানায়, তার কপাটের মাথায় আঙুরলতা। দুজন মানুষ খোলা দরোজার কাছে পাশা খেলছে টাকার লোভে,
পা দিয়ে ঠেলছে শূন্ত মদের কুপো ।
কোনো খবরই মিলল না সেখানে,
চললেম আরো অাগে ।
যেতে যেতে সন্ধে হল ; সময়ে পেরিয়ে যায় যায়, তখন খুজে পেলেম জায়গাট—
বলা যেতে পারে ব্যাপারটা তৃপ্তিজনক ।
মনে পড়ে এ-সব ঘটেছে অনেক কাল আগে,
আবার ঘটে যেন এই ইচ্ছে, কিন্তু লিখে রাখে—
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০৬
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
