}(t রবীন্দ্র-রচনাবলী
অক্ষয়। ওকে ওই জন্যেই তো বর্বরা নাম দিয়েছি। অয়ি বর্বরে, ভগবান তোমাদের কটি সহোদরাকে এই একটি অক্ষয় বর দিয়ে রেখেছেন, তবু তৃপ্তি নেই ?
নীরবালা । সেইজন্যেই তো লোভ বেড়ে গেছে ।
সৃপ তাহকে টানিয়া লইয়া চলিল ( চলিতে চলিতে ) এলে খবর দিয়ে মুখুজ্জেমশায়, ফাকি দিয়ে না। দেখছ তো সেজদিদি কিরকম চঞ্চল হয়ে উঠেছে —
গান
না ব’লে যায় পাছে সে আঁখি মোর ঘুম না জানে।
অক্ষয় । ভয় নেই, ভয় নেই। একটা যায় তো আর-একটা আসবে। যে বিধাতা আগুন স্থষ্টি করেছেন পতঙ্গও তিনিই জুটিয়ে দেবেন। এখন গানটা চলুক।
নীরবালা — কাছে তার রই, তবুও
ব্যথা যে রয় পরানে । অক্ষয়। নীরু, এটা তো আগন্তুকদের লক্ষ্য করে তৈরি হয় নি। কাছের মানুষটি
কে বলে তো ।
নীরবালা — যে পথিক পথের ভূলে
এল মোর প্রাণের কুলে পাছে তার ভুল ভেঙে যায়
চলে যায় কোন উজানে, আঁখি মোর ঘুম না জানে।
অক্ষয়। এ তো আমার সঙ্গে মিলছে। কিন্তু ভাই, জেনেশুনেই পথ ভুলেছি, স্বতরাং সে ভুল ভাঙবার রাস্তা রাখি নি।
নীরবালা — এল যেই এল আমার আগল টুটে,
খোলা দ্বার দিয়ে আবার যাবে ছুটে ।
খেয়ালের হাওয়া লেগে যে খেপা ওঠে জেগে সে কি আর সেই অবেলায় মিনতির বাধা মানে । জাখি মোর ঘুম না জানে।
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬৪
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
