পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፵ኅ•፡ রবীন্দ্র-রচনাবলী শৈলবালা। ধ্যানভঙ্গ আমরা করব। কেবল মুনিকুমারগুলিকে এই বাড়িতে আন৷ চাই । ritri অক্ষয়। সভাসুদ্ধ এইখানে উৎপাটিত করে আনতে হবে ? যত দুঃসাধ্য কাজ সব এই একটিমাত্র মুখুজ্জেমশায়কে দিয়ে ? শৈলবালা । (হাসিয়া ) মহাবীর হবার ওই তো মুশকিল। যখন গন্ধমাদনের প্রয়োজন হয়েছিল তখন নল নীল অঙ্গদকে তো কেউ পোছেও নি । অক্ষয় ওরে পোড়ার-মুখী, ত্রেতাযুগের পোড়ার-মুখোকে ছাড়া আর কোনো উপমাও তোর মনে উদয় হল না ? এত প্রেম! শৈলবালা । ই গো, এত প্রেম ! অক্ষয় – গান পোড়া মনে শুধু পোড়া মুখখানি জাগে রে । এত আছে লোক, তবু পোড়া চোখে আর কেহ নাহি লাগে রে । অক্ষয় । আচ্ছা, তাই হবে। পঙ্গপুাল কটাকে শিখার কাছে তাড়িয়ে নিয়ে আসব। তা হলে চট করে আমাকে একটা পান এনে দাও । তোমার স্বহস্তের রচনা। শৈলবালা । কেন, দিদির হস্তের— * অক্ষয় । আরে, দিদির হস্ত তো জোগাড় করেইছি, নইলে পাণিগ্রহণ কী জন্তে । এখন অন্য পদ্মহস্তগুলির প্রতি দৃষ্টি দেবার অবকাশ পাওয়া গেছে। শৈলবালা। আচ্ছ গো মশায়। পদ্মহন্ত তোমার পানে এমনি চুন মাখিয়ে দেবে যে, পোড়ার-মুখ আবার পুড়বে। অক্ষয় – গান যারে মরণদশায় ধরে সে যে শতবার করে মরে । পোড়া পতঙ্গ যত পোড়ে তত আগুনে ঝাপিয়ে পড়ে । শৈলবালা । মুখুজ্জেমশায়, ও কাগজের গোলাটা কিসের। অক্ষয় । তোমাদের সেই সভ্য হবার আবেদনপত্র এবং প্রবেশিকার দশ টাকার নোট পকেটে ছিল, ধোবা বেটা কেচে এমনি পরিষ্কার করে দিয়েছে একটা অক্ষরও দেখতে পাচ্ছি নে ও বেটা বোধ হয় স্ত্রীস্বাধীনতার ঘোরতর বিরোধী, তাই তোমার ওই পত্রটা একেবারে আগাগোড়া সংশোধন করে দিয়েছে।