পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>१९ . রবীন্দ্র-রচনাবলী পুরবালা। রসিকদাদার হাতে। অক্ষয়। মেয়েমানুষ, হস্তান্তর করবার আইন কিছুই জান না। সেইজন্তেই তে৷ বিরহাবস্থায় উপযুক্ত হাত নিজেই খুজে নিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হয়। পুরবালা । তোমাকে তো বেশি খোজাখুজি করতে হবে না । অক্ষয় । তা হবে না – 曲 গান কণর হাতে যে ধরা দেব প্রাণ তাই ভাবতে বেলা অবসান । ডান দিকেতে তাকাই যখন বায়ের লাগি কঁাদে রে মন ; বায়ের লাগি ফিরলে তখন দক্ষিণেতে পড়ে টান । আচ্ছ, আমার যেন সাম্ভনার গুটি দুই-তিন সদুপায় আছে, কিন্তু তুমি— বিরহযামিনী কেমনে যাপিবে, বিচ্ছেদতাপে যখন তাপিবে এপাশ ওপাশ বিছানা মাপিবে, মকরকেতনে কেবলি শাপিবে— পুরবাল । রক্ষে করে, ও মিলটা ওইখানেই শেষ করে ! অক্ষয়। দুঃখের সময় আমি থামতে পারি নে, কাব্য আপনি বেরোতে থাকে। মিল ভালো না বাস অমিত্রাক্ষর আছে, তুমি যখন বিদেশে থাকবে আমি ‘আর্তনাদ বদ কাব্য’ বলে একটা কাব্য লিখব। সখী, তার আরম্ভট শোনে— (সাড়ম্বরে ) বাষ্পীয় শকটে চড়ি নারীচূড়ামণি পুরবালা চলি যবে গেলা কাশীধামে বিকালে, কহ হে দেবী অমৃতভাষিণী কোন বরাঙ্গনে বরি বরমাল্যদানে যাপিলা বিচ্ছেদমাস শুশলীক্ৰয়ীশালী শ্ৰীঅক্ষয় ! পুরবালা। (সগর্বে ) আমার মাথা খাও, ঠাট্ট নয়, তুমি একটা সত্যিকার কাব্য লেথো না । o অক্ষয়। মাথা খাওয়ার কথা যদি বললে, আমি নিজের মাথাটি খেয়ে অবধি বুঝেছি ওটা মুখাদ্যের মধ্যে গণ্য নয়। আর ওই কাব্য লেখা, ও কার্যটাও স্বসাধ্য ་།