পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী عام الا বিপিন। অাছে বৈকি । চন্দ্রবাবু। শীঘ্ৰ জলবে, অল্প অল্প করে জলবে, অনেক ক্ষণ ধরে শেষ পর্যন্ত জলবে, এমন জিনিসটি চাই। খুজলে পাওয়া যাবে না কি ? শ্ৰীশ। খুব পাওয়া যাবে, হয়তো দেখবেন হাতের কাছেই আছে। পূর্ণ। পাকাটি এবং খ্যাংরা কাঠি দিয়ে শীঘ্রই পরীক্ষা করে দেখব। স্ত্রশ মুখ ফিরাইয়। হাসিল অক্ষয়ের প্রবেশ অক্ষয়। মশায়, প্রবেশ করতে পারি ? ক্ষীণদৃষ্টি চলমাধববাবু হঠাৎ চিনিতে ন পারিয়৷ ভ্র কুঞ্চিত করিয়া অবাক হইয়া চাহিয়া রহিলেন অক্ষয়। মশায়, ভয় পাবেন না এবং অমন ভ্ৰকুট করে আমাকেও ভয় দেখাবেন না। আমি অভূতপূর্ব নই, এমনকি, আমি আপনাদেরই ভূতপূর্ব— আমার নাম— চন্দ্রবাবু। আর নাম বলতে হবে না। আমুন, আস্থন অক্ষয়বাবু— তিন তরুণ সভ্য তক্ষয়কে নমস্কার করিল বিপিন ও গ্রীশ দুই বন্ধু সদ্যোবিবাদের বিমর্ষতায় গম্ভীর হইয়া বসিয়া রহিল পূর্ণ। মশায়, অভূতপূর্বের চেয়ে ভূতপূর্বকেই বেশি ভয় হয়। অক্ষয়। পূর্ণবাবু বুদ্ধিমানের মতে কথাই বলেছেন। সংসারে ভূতের ভয়টাই প্রচলিত। নিজে যে ব্যক্তি ভূত অন্য লোকের জীবনসম্ভোগটা তার কাছে বাঞ্ছনীয় হতে পারেই না, এই মনে করে মানুষ ভূতকে ভয়ংকর কল্পনা করে। অতএব সভাপতিমশায়, চিরকুমারসভার ভূতটিকে সভা থেকে ঝাড়াবেন না পূর্বসম্পর্কের মমতা-বশত একখানি চৌকি দেবেন– এই বেলা বলুন । চন্দ্রবাবু। চৌকি দেওয়াই স্থির। একখানি চেয়ার অগ্রসর করিয়া দিলেন অক্ষয় । সর্বসম্মতিক্রমে আসন গ্রহণ করলুম। আপনারা আমাকে নিতান্ত তত্ৰত করে বসতে বললেন বলেই যে আমি অভদ্রতা করে বসেই থাকব আমাকে এমন অসভ্য মনে করবেন না। বিশেষত পান তামাক এবং পত্নী আপনাদের সভার নিয়মবিরুদ্ধ, অথচ ওই তিনটে বদ অভ্যাসই আমাকে একেবারে মাটি করেছে, সুতরাং চটপট কাজের কথা সেরেই বাড়িমুখে হতে হবে। I চন্দ্রবাৰু। (হাসিয়া ) আপনি যখন সভ্য নন তখন আপনার সম্বন্ধে সভার নিয়ম