আমার মালার মূল্য নেই তার গলায়।
মর্তকে প্রয়োজন আমার,
আমাকে প্রয়োজন মর্তের । , তাই এসেছি তোমার কাছে, তোমার আকাঙ্ক্ষা দিয়ে করে আমাকে বরণ, দেবলোকের দুর্লভ সেই আকাঙ্ক্ষা
মর্তের সেই অমৃত-আশ্রর ধারা ।
ভালো হয়েছে আমার লেখা । o ‘ভালো হয়েছে? কথাটা কেটে দেব কি চিঠি থেকে ?
কেন, দোষ হয়েছে কী ? সত্য কথাই বেরিয়েছে কলমের মুখে ।
আশ্চর্য হয়েছ আমার অবিনয়ে— বলছ, ভালো যে হয়েইছে জানলে কী করে ? আমার উত্তর এই, নিশ্চিত নাই বা জানলেম । এক কালের ভালোটা
হয়তো হবে না অন্য কালের ভালো । তাই তো এক নিশ্বাসে বলতে পারি
‘ভালো হয়েছে । চিরকালের সত্য নিয়ে কথা হত যদি
চুপ করে থাকতেম ভয়ে। কত লিখেছি কতদিন,
মনে মনে বলেছি খুব ভালো ।
আজ পরম শত্রুর নামে
পারতেম যদি সেগুলো চালাতে
খুশি হতেম তবে । + এ লেখারও একদিন হয়তে হবে সেই দশা—
সেইজন্তেই, দোহাই তোমার, অসংকোচে বলতে দাও অাজকের মতে -
'এ লেখা হয়েছে ভালো’।
«SS
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
