পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\రీతిg f রবীন্দ্র-রচনাবলী তোমরা এখন যাও । বাবা মাখন তো এখন এখানেই রইলেন, ওঁকে আর কিছুতেই যেতে দিচ্ছি নে । ললনাম্বয় বিদায় হইলে ফকির ষষ্ঠীচরণকে বলিল, মশায়, আপনার পুত্র কেন যে সংসার ত্যাগ করে গেছেন তা আমি সম্পূর্ণ অনুভব করতে পারছি। মশায়, আমার প্রণাম জানবেন, আমি চললেম ।’ বৃদ্ধ এমনি উচ্চৈঃস্বরে ক্ৰন্দন উত্থাপন করিল যে, পাড়ার লোক মনে করিল মাখন তাহার বাপকে মারিয়াছে। তাহারা ইঁ-ই করিয়া ছুটিয়া আসিল । সকলে আসিয়া ফকিরকে জানাইয়া দিল, এমন ভণ্ডতপস্বীগিরি এখানে খাটিবে না । ভালোমানুষের ছেলের মতে কাল কাটাইতে হইবে । একজন বলিল, ইনি তো পরমহংস নন, পরম বক I’ গাম্ভীর্য গোফদাড়ি এবং গলাবন্ধের জোরে ফকিরকে এমন-সকল কুৎসিত কথা কখনো শুনিতে হয় নাই। যাহা হউক, লোকটা পাছে আবার পালায় পাড়ার লোকেরা অত্যন্ত সতর্ক রহিল। স্বয়ং জমিদার ষষ্ঠীচরণের পক্ষ অবলম্বন করিলেন । ولم\ ফকির দেখিল এমনি কড়া পাহারা যে, মৃত্যু না হইলে ইহার ঘরের বাহির করিবে না । একাকী ঘরে বসিয়া গান গাহিতে লাগিল— শোন সাধুর উক্তি, কিসে মুক্তি সেই স্বযুক্তি কর গ্রহণ । বলা বাহুল্য গানটার আধ্যাত্মিক অর্থ অনেকটা ক্ষীণ হইয়া আসিয়াছে। এমন করিয়াও কোনোমতে দিন কাটিত । কিন্তু, মাথনের আগমনসংবাদ পাইয়। দুই স্ত্রীর সম্পর্কের এক বৰ্ণক শু্যাল ও শুালী আসিয়া উপস্থিত হইল । 敏 তাহারা আসিয়াই প্রথমত ফকিরের গোফ দাড়ি ধরিয়া টানিতে লাগিল ; তাহারা বলিল, এ তে সত্যকার গোফ দাড়ি নয়, ছদ্মবেশ করিবার জন্ত আঠা দিয়া জুড়িয়া আসিয়াছে। নাসিকার নিম্নবর্তী গুম্ফ ধরিয়া টানাটানি করিলে ফকিরের ন্যায় অত্যন্ত মহৎ লোকেরও মাহাত্ম্য রক্ষা করা দুষ্কর হইয় উঠে। ইহা ছাড়া কানের উপর উপদ্রবও ছিল— লিয়া, দ্বিতীয়ত এমন-সকল ভাষা প্রয়োগ করিয়া যাহাতে কান না মলিলেও কান লাল হইয় উঠে । ইহার পর ফকিরকে তাহারা এমন-সকল গান ফর্মায়েশ করিতে লাগিল, আধুনিক প্রথমত ম'