পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిపి, ब्रबैौटअ-ब्रध्नांबलौ এ লঙ্গ তুমি স্বীকার করতে পার না। দুঃখ দিয়ে ফেরাও– পাঠাও তোমার মৃত্যুদূতকে, ক্ষতিদূতকে। জীবনটাকে নিয়ে যতই এলোমেলো করে ব্যবহার করেছি ততই তাতে সহস্ৰ হুঃসাধ্য গ্রন্থি পড়ে গেছে— সে তো সহজে মোচন করা যাৰে না, তাকে ছিন্ন করতে হবে। সেই বেদনা থেকে আলস্তে বা ভয়ে আমাকে লেশমাত্র নিরস্ত হতে দিয়ে না। কতবার নববর্ধ এসেছে, কত নববর্ষের দিনে তোমার কাছে মঙ্গল প্রার্থনা করেছি। কিন্তু, কত মিথ্যা আর বলব। বারে বারে কত মিথ্যা সংকল্প আর উচ্চারণ করব। বাক্যের ব্যর্থ অলংকারকে আর কত রাশীকৃত করে জমিয়ে তুলব। জীবন যদি সত্য হয়ে না থাকে তবে ব্যর্থ জীবনের বেদন সত্য হয়ে উঠুক— সেই বেদনার বহ্নিশিখায় তুমি আমাকে পবিত্র করো। হে রুদ্র, বৈশাখের প্রথম দিনে আজ আমি তোমাকেই প্রণাম করি— তোমার প্রলয়লীলা আমার জীবনবীণার সমস্ত আলস্তম্বগু তারগুলোকে কঠিনবলে আঘাত করুক, তা হলেই আমার মধ্যে তোমার স্থষ্টিলীলার নব আনন্দসংগীত বিশুদ্ধ হয়ে বেজে উঠবে। তা হলেই তোমার প্রসন্নতাকে অবারিত দেখতে পাব তা হলেই আমি রক্ষা পাব) রূত্র, বত্তে দক্ষিণং মুখং তেন মাং পাহি নিত্যম। ১ বৈশাখ ১৩১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৩১৮ বৈশাখী ঝড়ের সন্ধ্যা কর্ম করতে করতে কর্মস্থত্রে এক-এক জায়গায় গ্রন্থি পড়ে ; তখন তাই নিয়ে কাজ অনেক বেড়ে যায়। সেইটে ছিড়তে, খুলতে, সেরে নিতে, চার দিকে কত রকমের টানাটানি করতে হয়— তাতে মন উত্ত্যক্ত হয়ে ওঠে। এখানকার কাজে ইতিমধ্যে সেই রকমের একটা গ্রন্থি পড়েছিল ; তাই নিয়ে নানা দিকে একটা নাড়াচাড়া টানাছেড়া উপস্থিত হয়েছিল। তাই ভেবেছিলুম আজ মন্দিরে বসেও সেই জোড়াতাড়ার কাজ কতকটা বুঝি করতে হবে ; এ সম্বন্ধে কিছু বলতে হবে, কিছু উপদেশ দিতে হবে। মনের মধ্যে এই নিয়ে কিছু চিন্তা কিছু চেষ্টার আঘাত ছিল। কী করলে জট ছাড়ানো হবে, জঞ্জাল দূর হবে, হিতবাক্য তোমরা অবহিতভাবে শুনতে পারবে, সেই কথা আমার মনকে ভিতরে ভিতরে তাড়না ििङ्ज । . এমন সময় দেখতে দেখতে উত্তর-পশ্চিমে ঘনঘোর মেঘ করে এসে সূর্যান্তের রক্ত