পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8లy রবীন্দ্র-রচনাবলী শেষ নয়, এই পৃথিবীতেও শেষ নয়, আমি যে তোমার দর্শনার্থে তীর্থযাত্রায় বেরিয়েছি। ঘুরেই চলেছি, দেখা মেলে নি। আজ সব রুদ্ধতার মধ্যে একটু ফাক করে দিলেম, দেখা দিয়ে। অপরাধ তুমি যদি ক্ষমা না কর, পরমানন্দের কণা একটিও যদি না দাও, তবু এ কথা বলতে পারব না ওগো আমি পারলুম না । আমি ক্লাস্ত, অক্ষম, দুর্বল, আমি জবাব দিলুম, আমার সব পড়ে রইল— এ কথা বলব না। তোমার জন্য দুঃখ পেলেম এই কথা জানাবার স্থখ যে তুমিই দেবে। দুঃখ আমার নিজের জন্ত পেলে খেদের অবসান থাকে না। হে বন্ধু, তোমার জন্য বড়ো দুঃখ পেয়েছি এ কথা বলবার অধিকার দাও । সমস্ত সংসারের দীর্ঘপথ দুঃখের বোঝা বয়ে এসেছি, আজ দিলুম তোমার পায়ে ফেলে। তুমি যে আনন্দ, তুমি যে অমৃত, এই কথাটি আজ স্মরণ করব । সেই স্মরণ করবার দিনই এই মহোৎসবের দিন । অসতে মা সদগময় । অসত্যে জড়িয়ে আছি, তোমার সঙ্গে মিললে তবে সত্য হব। তোমার সঙ্গে সত্যে মিলন হবে, জ্ঞানের জ্যোতিতে মিলন হবে। মৃত্যুর পথ মাড়িয়ে অমৃতলোকে মিলন হবে । বিশ্বজগৎকে তোমার প্রকাশ যেমন প্রকাশিত করছে তেমনি আমার জীবনকে করবে । ওঁ শাস্তি: শাস্তি: শাস্তি: হরিঃ ওঁ । ১১ মাঘ ১৩২০ ছোটো ও বড়ে। هیچی এগারোই মাঘ সায়ংকালে লেখক কর্তৃক পঠিত উপদেশ এই সংসারের মাঝখানে থেকে সংসারের সমস্ত তাৎপর্য খুজে পাই আর নাই পাই, প্রতিদিনের তুচ্ছতার মধ্যে মানুষ ক্ষণকালের খেলা যেমন করেই খেলুক, মানুষ আপনাকে স্বষ্টির মাঝখানে একটা খাপছাড়া ব্যাপার বলে মনে করতে পারে না । মানুষের বুদ্ধি ভালোবাসা আশা আকাঙ্ক্ষা সমস্তের মধ্যেই মানুষের উপস্থিত প্রয়োজনের অতিরিক্ত এমন একটা প্রভূত বেগ অাছে যে মানুষ নিজের জীবনের হিসাব করবার সময়, যা তার হাতে আছে তার চেয়ে অনেক বেশি জমা করে নেয় । মাহুষ আপনার প্রতিদিনের হাত-খরচের খুচরো তহবিলকেই নিজের মূলধন বলে