পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় রচনাবলীর বর্তমান খণ্ডে মুদ্রিত গ্রন্থগুলির প্রথম প্রকাশের তারিখ ও গ্রন্থ-সংক্রাস্ত অন্যান্য জ্ঞাতব্য তথ্য গ্রন্থপরিচয়ে সংকলিত হইল। এই খণ্ডে মুদ্রিত কোনো কোনো রচনা সম্বন্ধে কবির নিজের মন্তব্যও উদ্ভূত হইল। # পুনশ্চ পুনশ্চ ১৩৩৯ সালের আশ্বিন মাসে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। ১৩৪০ সালের ফাঙ্কন মাসে প্রকাশিত দ্বিতীয় সংস্করণে, পরিশেষ গ্রন্থ হইতে খেলনার মুক্তি, পত্ৰলেখা, খ্যাতি, বাশি, উন্নতি, ভীরু এবং নূতন-লিখিত তীর্থযাত্রী, চিরজপের বাণী, শুচি, রঙরেজিনী, মুক্তি, প্রেমের সোনা ও স্বানসমাপন এই তেরোটি কবিতা সংযোজিত হয়। রবীন্দ্ররচনাবলীর এই খণ্ডে উক্ত দ্বিতীয় সংস্করণই পুনরুমুদ্রিত হইল। ঐযুক্ত ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে লিখিত একটি পত্রে রবীন্দ্রনাথ পুনশ্চ কাব্যের রচনারীতি সম্বন্ধে যে আলোচনা করেন নিয়ে তাহা মুদ্রিত হইল— গানের আলাপের সঙ্গে পুনশ্চ কাব্যগ্রন্থের গত্যিকারীতির যে তুলনা করেছ সেটা মন্দ হয় নি। কেননা, আলাপের মধ্যে তালটা বাধনছাড়া হয়েও আত্মবিস্মৃত হয় না। অর্থাৎ, বাইরে থাকে না মৃদঙ্গের বোল, কিন্তু নিজের অঙ্গের মধ্যেই থাকে চলবার একটা ওজন । কিন্তু সংগীতের সঙ্গে কাব্যের একটা জায়গায় মিল নেই । সংগীতের সমস্তটাই অনির্বচনীয় । কাব্যে বচনীয়তা আছে সে কথা বলা বাহুল্য । অনির্বচনীয়তা সেইটেকেই বেষ্টন করে হিল্লোলিত হতে থাকে, পৃথিবীর চার দিকে বায়ুমগুলের মতো । এ-পর্যন্ত বচনের সঙ্গে অনির্বচনের, বিষয়ের সঙ্গে রসের গাঠ বেঁধে দিয়েছে ছন্দ। পরস্পরকে বলিয়ে নিয়েছে ‘ষদেতং হৃদয়ং মম তদস্তু হৃদয়ং তব । বাক এবং অবাক বাধা পড়েছে ছন্দের মাল্যবন্ধনে। এই বাকু এবং অবাকের একান্ত মিলনেই কাব্য । বিবাহিত জীবনে যেমন কাব্যেও তেমনি মাঝে মাঝে বিরোধ বাধে, উভয়ের মাঝখানে ফাক পড়ে যায়, ছন্দও তখন জোড় মেলাতে পারে না । সেটাকেই বলি আক্ষেপের বিষয় । বাসরঘরে এক শয্যায় দুই পক্ষ দুই দিকে মুখ ফিরিয়ে থাকার মতোই সেটা শোচনীয়। তার চেয়ে আরো শোচনীয় যখন এক ৫ ও ৯