পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8oo लोक-शष्नविकी শব্দের অর্থ রাত্রি-প্র উপসাগটা সামনের দিকে তর্জনী তোলে- অতএব ঐ শব্দটাকে বিশ্লেষণ করে দুই অর্থই পাওয়া যেতে পারে- অর্থাৎ যে সময়টার সম্মুখে রাত্রি, অথবা রাত্রির সম্মুখে যে সময়। রাত্রির প্রবণতা যে দিকে। কিন্তু শব্দ বিশ্লেষণের দরকার নেই, দরকার আছে twilight শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ পাওয়ার। প্রদোষ শব্দটা সাধারণত বেকার বসে থাকে তার দ্বারা আমি সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করব, যেহেতু অন্য কোনো শব্দ নেই।” ২৯। আশ্বিন ১৩৩৯ কালচার ও সংস্কৃতি । কালচার শব্দের একটা নতুন বাংলা কথা হঠাৎ দেখা দিয়েছে ; চােখে পড়েছে কি? কৃষ্টি।” ইংরেজি শব্দটার আভিধানিক অর্থের বাধ্য অনুগত হয়ে ঐ কুশ্ৰী শব্দটাকে কি সহ্য করতেই হবে। এটেল পোকা পশুর গায়ে যেমন কামড়ে ধরে ভাষার গায়ে ওটাও তেমনি কামড়ে ধরেছে। মাতৃভাষার প্রতি দয়া করবে না তোমরা? অন্য প্রদেশে ভদ্রতা বােধ আছে। এই অর্থে সেখানে ব্যবহার ‘সংস্কৃতি’। যে-মানুষের কালচার আছে তাকে বলা চলে সংস্কৃতিমান, শব্দটাকে বিশেষ্য করে যদি বলা যায় সংস্কৃতিমত্তা, ওজনে ভারি হয় বটে কিন্তু রোমহর্ষক হয় না। নিজের সম্বন্ধে অহংকার করা শাস্ত্ৰে নিষিদ্ধ, তবু আন্দাজে বলতে পারি, বন্ধুরা আমাকে কালচারড বলেই গণ্য করেন। কিন্তু যদি তীরা আমাকে সহসা কৃষ্টিমান উপাধি দেন বা আমার কৃষ্টিমত্তা সম্বন্ধে ভালোমন্দ কোনো কথার উত্থাপন করেন তবে বন্ধুবিচ্ছেদ হবে। অন্তত আমার মধ্যে কৃষ্টি আছে। এ কথার প্রতিবাদ করাকে আমি আত্মলাঘব মনে ইংরেজি ভাষায় চাষ এবং ভব্যতা একই শব্দে চলে গেছে বলে কি আমরাও বাংলা ভাষায় ফিরিঙ্গিয়ানা করব? ইংরেজিতে সুশিক্ষিত মানুষকে বলে কালটিভেটেড—আমরা কি সেইরকম উঁচুদরের মানুষকে চাষ করা মানুষ বলে সম্মান জনাব, অথবা বলব কেদারনাথ। । [সংস্কৃতভাষায় উৎকর্ষ প্রকর্ষ শব্দের ধাতুগত অর্থে চাষের ভাব আছে কিন্তু ব্যবহারে সে অর্থ কেটে গেছে। কৃষ্টিতে তা কাটে নি। সেইজন্যে তোমাদের সম্পাদকবর্গের কাছে আমার এই প্রশ্ন, চিৎপ্রকর্ষ বা চিত্তপ্রকর্ষ বা চিত্তোৎকর্ষ শব্দটাকে কালচার অর্থে চালালে দোষ কি? কালচারীড় মানুষকে প্রকৃষ্টচিত্ত লোক বলা যেতে পারে। কালচারড ফ্যামিলিকে প্রকর্ষবান পরিবার বললে সে-পরিবার গৌরব বোধ করবে। কিন্তু কৃষ্টিমান বললে চন্দনের সাবান মেখে স্নান করতে ইচ্ছা! ৮ ডিসেম্বর ১৯৩২ ১ চারুচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিত পত্র ২ দ্রষ্টব্য ; প্রতিশব্দ ১৪ ৩ ১৩৩৯ মাঘ সংখ্যা পরিচয় পত্রে চিহ্নবিভ্ৰাট নামে প্রকাশিত সুধীন্দ্রনাথ দত্তকে লিখিত পত্রের শেষাংশ। বাংলা শব্দতন্ধের ১৩৪২ সংস্করণ অনুযায়ী পত্রের অংশ দুই অংশে স্বতন্ত্রভাবে সন্নিবিষ্ট হইল। {}-বন্ধনী-ভুক্ত ठ९* । नदट्रeा बद्धिfठ ।