পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা শব্দতত্ত্ব 8ts আছে, যথা- ‘অভিনব জলধর সুন্দর দেহ। পীত বসন পরা সৌদামিনী সেহ৷”)। পদদ্বয়ের বর্ণনা সমাপ্ত হইলে পর পদদ্বয়ের কার্যের উল্লেখ হইল- “কালিন্দী তীর ধীর চলি যাতা।” তাহার পরে বাহুই শাখাদ্ধয় ও তােহর অগ্রভাগে নখরের সুধাকর-পঙক্তি ও তাঁহাতে অরুণভাতি করপল্লব। এইবারে বর্ণনা মুখমণ্ডলে আসিয়া পৌঁছিল। প্রথমে বিম্বফল ওষ্ঠাধর যুগল তাহাতে কিরণ অর্থাৎ হাস্য স্থির রূপে বাস করে। তাহার উন্ধেৰ্ব্ব চঞ্চল-খঞ্জন চক্ষু। ও সকলের উর্ধে সাপিনীর বেষ্টনের এখন আমি অসংকোচে ও নিঃসন্দিগ্ধ চিত্তে বলিতে পারি যে, উপরি-উক্ত অর্থই, ঐ পদটির যথার্থ অর্থ। ইহা ব্যতীত অন্য কোনো গুঢ় অর্থ বুঝানো কবির অভিপ্রায় ছিল না।” কার্তিক ১২৮৮ শ্ৰী:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 冲而—5颈可:> বাংলা ভাষায় গদ্য লিখতে নতুন শব্দের প্রয়োজন প্রতিদিনই ঘটে। অনেক দিন ধরে অনেক রকম লেখা লিখে এসেছি সেই উপলক্ষে অনেক শব্দ আমাকে বানাতে হল। কিন্তু প্রায়ই মনের ভিতরে খটকা থেকে যায়। সুবিধা এই যে বার বার ব্যবহারের দ্বারাই শব্দবিশেষের অর্থ আপনি পাকা হয়ে উঠে, মূলে যেটা অসংগত, অভ্যাসে সেটা সংগতি লাভ করে। তৎসত্ত্বে সাহিত্যের হট্টগোলে এমন অনেক শব্দের আমদানি হয়, যা ভাষাকে যেন চিরদিনই পীড়া দিতে থাকে। যেমন সহানুভূতি’। এটা sympathy শব্দের তর্জমা। ‘সিম্প্যাথিা’-র গোড়াকার অর্থ ছিল ‘দরদী’'। ওটা ভাবের আমলের কথা, বুদ্ধির আমলের নয়। কিন্তু ব্যবহারকালে ইংরেজিতে ‘সিম্প্যাথি’-র মূল অর্থ আপনি ধাতুগত সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তাই কোনো একটা প্ৰস্তাব সম্বন্ধেও সিম্প্যাথি-র কথা শোনা যায়। ংলাতেও আমরা বলতে আরম্ভ করেছি। ‘এই প্রস্তাবে আমার সহানুভূতি আছে। বলা উচিত। ‘সম্মতি আছে’ বা “আমি এর সমর্থন করি’। যা-ই হােক-সহানুভূতি কথাটা যে বানানো কথা এবং ওটা এখনো মানান-সই হয় নি তা বেশ বোঝা যায় যখন ও শব্দটাকে বিশেষণ করবার চেষ্টা করি। সিম্প্যাথেটিক’-এর কী তৰ্জমা হতে পারে, সহানুভৌতিক, বা সহানুভূতিশীল’ বা ‘সহানুভূতিমান” ভাষায় যেন খাপ খায় না- সেইজনেই আজ পর্যন্ত বাঙালি লেখক এর লজ্জায় চুপ করে যাই। অথচ সংস্কৃত ভাষায় এমন একটি শব্দ আছে, যেটা একেবারেই তথার্থক। সে হচ্ছে “অনুকম্পা”। ধ্বনিবিজ্ঞানে ধ্বনি ও বাদ্যযন্ত্রের তারের মধ্যে সিম্প্যাথি-র কথা শোনা যায় —যে সুরে বিশেষ কোনো তার বাঁধা, সেই সুর শান্দিত হলে সেই তারটি অনুধ্বনিত হয়। এই তো “অনুকম্পন’। অন্যের বেদনায় যখন আমার চিত্ত ব্যথিত হয়, তখন সেই তো ঠিক ‘অনুকম্পা’। ‘অনুকম্পায়ী' কথাটা সংস্কৃতে আছে। “অনুকম্পপ্রবণ” শব্দটাও মন্দ শোনায় না। ‘অনুকম্পালু বােধ করি ভালেই চলে। মুশকিল। এই যে, দখলের দলিলটাই ভাষায় স্বত্বের দলিল হয়ে ওঠে। কেবলমাত্র এই কারণেই কান, সোনা, চুন, পান’ শব্দগুলোতে মূর্ধন্য ণ-য়ের অনধিকার নিরোধ করা এত দুঃসাধ্য হয়েছে। ছাপাখানার অক্ষার-যোজকেরা সংশোধন মানে না। তাদের প্রশ্ন S DBDBu BB SDDBB DLL DDDSDBSDSTBBS SBDJ