পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

g: Roy O. রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী মোচড় দিতে তার অসামান্য নৈপুণ্য।” একে-ভালো বলতে বাধ্য, কিন্তু ভালো লাগতে নয়। সংগীত যখন রূপঘনিষ্ঠ প্রাণবান দেহ নেয় তখন তার য়ত খুশি টেনে বাড়ানো, ছেটে কমানো, আকে আছড়ানো, মোচড়ানো, কলাতত্ত্ববিরোধী। পুরূভুজজাতীয় আদিম জীব অবয়বহীন, ইংরেজিত্বে মাকে বলে amorphous, তার স্বভাবসীমাকে কিছুদূর অতিক্রম করা চলে, কিন্তু বেশি দূর নয়। এইজন্যে কেন্সরবাইয়ের গানকে কান তারিফ করলেও মন স্বীকার করছিল না। যারা ওস্তাদি-নেশী-গ্ৰস্ত তাদের এই কলাতত্ত্বের সহজ কথা বুঝিয়ে দেওয়া শক্ত। কেননা, নেশার সীমা নেই, ভোজের আছে। ঢাল ঢাল সূরা আরো ঢাল এটাকে মাৎলামি বলে হাসতে পারি, কিন্তু দই ক্ষীর সন্দেশের বেলা যথাস্থানে থামার দ্বারাই তাকে সম্মান দেওয়া হয়—না থামলেই সেটা বীভৎস হয়ে ওঠে। কেসরবাই যে জাতীয় গান গায়, শারীরিক, ক্লান্তি ছাড়া তার থামবার এমন কোনােই সুবিহিত প্রেরণা নেই যা তার অন্তর্নিহিত। তাতে কেসরবাইকে অপরাধী করি নে, এইজাতীয় সংগীতকেই করি। কেসরবাইয়ের গাওয়াতে কেবল যে সাধনার পূরিচয় আছে তা নয়, বিধিদত্ত ক্ষমতারও পরিচয় আছে—যা অধিকাংশ ওস্তাদের নেই। কিন্তু, ততঃ কিম! এই শক্তি ভুল বাহন নিয়ে ব্যৰ্থ হয়েছে, নন্দনবনে যে অঙ্গরার যোগস্থান ছিল সুন্দরবনে তার মান বাঁচানাে সহজ হয় না। জানকীনাথ বসুকে লিখিত । S S L S S S S শান্তিনিকেতন। ২০ ডিসেম্বর ১৯৩৮ xx আমার গান তীর ইচ্ছামত ভঙ্গি দিয়ে গেয়ে থাকেন, তাতে তাদের স্বরূপ নষ্ট হয় সন্দেহ নেই। গায়কের কণ্ঠের উপর রচিয়িতার জোর খাটে না, সুতরাং ধৈর্য ধরে থাকা ছাড়া অন্য পথ উন্নতি করে থাকেন। মনে মনে বলি পরের গানের উন্নতি সাধনে প্রতিভার অপব্যয় না করে নিজের গানের রচনায় মন দিলে তঁরা ধন্য হতে পারেন। সংসারে যদি উপদ্রব্য করতেই হয় তবে হিটলার প্রভৃতির ন্যায় নিজের নামের জোরে করাই ভালো। একাদশখণ্ড চিঠিপত্র শান্তিনিকেতন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯ সুরের-বোঝাই-ভরা তিনটে নাটিকার মাঝিগিরি শেষ করা গেল। নটনটীরা যন্ত্রতন্ত্র নিয়ে চলে গোল কলকাতায়। দীর্ঘকাল আমার মন ছিল গুঞ্জনমুখরিত। আনন্দে ছিলুম। সে আনন্দ বিশুদ্ধ, কেননা ১ দিলীপকুমার রায় ‘দ্রাম্যমাণ’ (৭। বৈশাখ ১৮৮৬ শক, পু ১৬১-৬২) গ্রন্থে লেখেন : “প্রশক্তি লিখে দিলেন এক অচিড়ে (S-8-SR 9) : - - consider myself fortunate in securing a chance for listening to Kesar Bai's singing which is an artistic phenomenon of exquisite perfection. The magic of her voice with the alystery of its varicህ imodulations has repeatedly proved its true significance not in any pedantic display of technic subtleties mechanically accurate, but in the revelation of the miracle of music only posible for a bህ{I] igenius. Let me offer my thanks and my blessings to Kesar Bai for allowing me this evening a precio opportiority of experience. (s - y *. Rabindratah Tagore,