পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় ჯგჯერk আলফ্রেড থিয়েটারে । বর্তমান সংকলনে প্রধানত প্রবাসী পত্রিকার পাঠই অনুসৃত হইয়াছে। ৭, ৮. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রামতনু লাহিড়ী অধ্যাপক" হিসাবে রবীন্দ্রনাথ এই বক্তৃতা দুটি দেন যথাক্রমে [ ? 1 ডিসেম্বর ১৯৩২ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩-এ । দুটি প্রবন্ধই কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হইতে পুস্তিক-আকারে মুদ্রিত হয়। ৯. ধীরেন্দ্রমোহন সেনকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের ১৫ জুলাই ১৯৩৫ তারিখের পত্রটি শিক্ষা ও সংস্কৃতি’ নামে বিচিএা-য় মুদ্রিত হয়। ১০. কলিকাতায় অনুষ্ঠিত শিক্ষাসপ্তাহে আন্তর্জাতিক নিউ এডুকেশন ফেলোশিপ"-এর ভাষাণ-রূপে ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ তারিখে পঠিত { উল্লেখ্য, কলিকাতা বেতারকেন্দ্র রবীন্দ্রনাথের ভাষণটি স ‘প্রচার করে। এই প্রবন্ধে পূর্বপ্রকাশিত ‘শিক্ষার বাহন’ (পৌষ ১৩৩২) প্রবন্ধের কোনো কোনো অংশ গৃহীত হইয়াছে ; রবীন্দ্রনাথ সূচনাতেই বলেন ; এ সম্বন্ধে বরাবর আমি আলোচনা করেছি, আবার তাঁর পুনরুক্তি করতে প্রবৃত্তি হলোম ; যেখানে ব্যথা সেখানে বার বার হাত পড়ে { অমর এই প্রসঙ্গে পুনরুক্তি অনেকেই হয়তো ধরতে পারবেন না ; কেননা অনেকেরই ক্যানে আমার সেই পুরোনো কথা পৌছয় নি ? যাঁদের কাছে পুনরুক্তি ধরা পড়বে তঁরা যেন ক্ষমা করেন। কেননা আজ আমি দুঃখের কথা বলতে এসেছি, নূতন কথা বলতে আসি নি ?” ১৩৪৩ ভাদ্রে প্রকাশিত “শিক্ষার ধারা’ পুস্তিকায় সামান্য পরিবর্তনসহ এই প্রবন্ধ পুনমূদ্রিত হয়। বুলেটিনে বা পুস্তিকায় প্রবন্ধশেষে রবীন্দ্রনাথের একখানি পত্রের অংশবিশেষ পুনশ্চ” শিরোনামে সংকলিত, ওই পত্রে বাংলা দেশের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মোঃ আজিজুল হককে লেখা হয় : আমার আর-একটি প্রস্তাব আমাদের শিক্ষাবিভাগের সম্মুখে আমি উপস্থিত করতে চাই ! দেশের যে-সকল পুরুষ ও স্ট্রীলোকেরা নানা কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভের সুযোগ থেকে বঞ্চি ৩, তাদের জন্য ছোটো বড়ো প্রাদেশিক শহরগুলিতে যদি পরীক্ষাকেন্দ্ৰ স্থাপন করা যায়, ৩বে অনেকেই অবসরমা ৩ ঘরে বসে নিজেকে শিক্ষিত করতে উৎসাহিত হবে। নিম্নতন থেকে উচ্চ৩ন পর্ব পর্যন্ত তাদের পাঠ্য বিষয় নির্দিষ্ট করে তাদের পাঠ্যপুস্তক বেঁধে দিলে সুবিহিত ভাবে তাদের শিক্ষা নিয়ন্ত্রিত হতে পারবে। এই পরীক্ষার যোগে যে-সকল উপাধির অধিকার পাওয়া যাবে, সমাজের দিক থেকে তার সন্মান ও জীবিকার দিক থেকে তার প্রয়োজনীয়তার মূল্য আছে, তাই আশা করা যায়, দেশব্যাপী পরীক্ষার্থীর দেয় অর্থ থেকে অনায়াসে এর ব্যয় নির্বাহ হবে। এই উপলক্ষে পাঠ্যপুস্তক-রচনার ক্ষেত্র প্রসারিত হয়ে জনসাধারণের মধ্যে বিদ্যবিস্তারের উপাদান বেড়ে যাবে এবং এতে করে বিডর লেখকের জীবিকার উপায় নির্ধারিত হবে { একদা বিশ্বভারতী থেকে এই কর্তব্য গ্রহণ করবার সংকল্প মনে উদয় হয়েছিল, কিন্তু দরিদ্রের মনোরথ মনের বাইরে অচল। তা ছাড়া রাজ-সরকারের উপাধিই জীবনযাত্রায় কর্ণধার। রবীন্দ্রনাথের প্রস্তাব ওই সময়ে বা পরে শিক্ষাধিকার-কর্তৃক গৃহীত হয় নি। উল্লেখ্য, ১৯৩৩ ফেব্রুয়ারিতে কলিকাও বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবানে রবীন্দ্রনাথ যে ভাষণ দেন (শিক্ষার বিকিরণ", দ্রষ্টব্য ৩৩২ পৃষ্ঠার শেষ অনুচ্ছেদ থেকে ৩৩৪ পৃষ্ঠায় প্রবন্ধের শেষ) সেখানেও এই একই প্রস্তাব করা হইয়াছিল ; বিশ্ববিদ্যালয় বা গবর্নমেন্ট হইতে এইরূপ পরীক্ষাকেন্দ্র-স্থাপনের ব্যবস্থা হয় নাই বলিয়া, রবীন্দ্রনাথের প্রবর্তনায় বিশ্বভারতী লোক-শিক্ষাসংসদ যথাশক্তি দেশের বিভিন্ন স্থানে এইরূপ পরীক্ষাকেন্দ্ৰ স্থাপন করিতে থাকেন"।