পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় と冷" মনে রৈল, সই, মনের বেদন । প্রবাসে যখন ষার গো সে .' उठांद्र दक्ीि दक्ीि ख्या: दक्षिा श्ळत ना- । ইহা কাব্যকলায় অসম্পূর্ণ, অতএব সুরের প্রতি ইহার অনেকটা নির্ভর। সংস্কৃত শব্দ এবং ছন্দ ধ্বনিগৌরবে পরিপূর্ণ। সুতরাং সংস্কৃতে কাব্যরচনার সােধ গানে মিটাইতে হয় নাই, বরং গানের সাধ কাব্যে মিটিয়াছে। মেঘদূত সুরে বসানো বাহুল্য। হিন্দিসাহিত্য সম্বন্ধে বিশেষ কিছুই জানি না। কিন্তু, এ কথা বলিতে পারি হিন্দিতে যে-সকল ধ্রুপদ খেয়াল প্রভৃতি পদ শুনা যায় তাহার অধিকাংশই কেবলমাত্র গান, একেবারেই কাব্য নহে। কথাকে সামান্য উপলক্ষমাত্র করিয়া সুর শুনানোই হিন্দিগানের প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু বাংলায় সুরের সাহায্য লইয়া কথার ভাবে শ্রোতাদিগকে মুগ্ধ করাই কবির উদ্দেশ্য। কবির গান, কীর্তন, রামপ্রসাদী গান, বাউলের গান প্রভৃতি দেখিলেই ইহার প্রমাণ হইবে। অতএব কাব্যরচনাই ংলাগানের মুখ্য উদ্দেশ্য, সুর-সংযোগ গৌণ। এই-সকল কারণে বাংলা সাহিত্যভাণ্ডারে রত্ন याश-किछु श्रों92ा या उाश शान। –Skal arti e Ea SSø SSI's সুর এবং তাল, ছন্দ এবং ধ্বনি, সংগীতের দুই অংশ। গ্ৰীকরা ‘জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর সংগীত’ বলিয়া একটা কথা বলিয়া গিয়াছেন, শেকসপিয়রেও তাহার উল্লেখ আছে। তাহার কারণ পূর্বেই বলিয়াছি, যে একটা গতির সঙ্গে আর-একটা গতির বড়ো নিকট সম্বন্ধ। -গদ্য ও পদা; ফাল্গুন ১২১৯ 8 গান করে’। ভাবটা এই যে, মিষ্টগায়ক গানকে আমাদের ইন্দ্ৰিয়সভায় আনিয়া নিতান্ত সুলভ প্ৰশংসার দ্বারা অপমানিত করে, মার্জিত রুচি ও শিক্ষিত মনের দরবারে সে প্রবেশ করে না . যাহা সহজেই মিষ্ট তাহাতে অতি শীঘ্ৰ মনের আলস্য আনে, বেশিক্ষণ মনোযোগ থাকে না। অবিলম্বেই তাহার সীমায় উত্তীর্ণ হইয়া মন বলে, “আর কেন, ঢের হইয়াছে।” এইজন্য যে লোক যে বিষয়ে বিশেষ শিক্ষা লাভ করিয়াছে, সে তাহার গোড়ার দিককার নিতান্ত সহজ ও ললিত অংশকে আর খাতির করে না। কারণ, সেটুকুর সীমা সে জানিয়া লইয়াছে; সেটুকুর দৌড় যে বেশিদূর নহে। তাহা সে বোঝে ; এইজন্যই তাহার অন্তঃকরণ তাহাতে জাগে না। অশিক্ষিত সেই সহজ অংশটুকুই বুঝিতে পারে ; অথচ তখনো সে তাহার সীমা পায় না, এইজন্যই সেই অগভীর অংশেই তাহার একমাত্র আনন্দ। সমঝদারের আনন্দকে সে একটা কিন্তুত ব্যাপার বলিয়া মনে করে ; অনেক সময় তাহাকে কপটতার আড়ম্বর বলিয়াও গণ্য করিয়া থাকে। এইজন্যই সর্বপ্রকার কলাবিদ্যা সম্বন্ধে শিক্ষিত ও অশিক্ষিতের আনন্দ ভিন্ন ভিন্ন পথে যায়। তখন একপক্ষ বলে, “তুমি কী বুঝিবে!' আর-এক পক্ষ রাগ করিয়া বলে, “যাহা বুঝিবার তাহা কেবল তুমিই বোঝ, জগতে আর-কেহ বুঝি বোঝে না!” • . একটি সুগভীর সামঞ্জস্যের আনন্দ, সংস্থান-সমাবেশের আনন্দ, দূরবতীর সহিত যোগসংযোগের আনন্দ, পার্শ্ববতীর সহিত বৈচিত্ৰ্যসাধনের আনন্দ- এইগুলি মানসিক আনন্দ। ভিতরে