পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r8 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী “স্থির হয়ে রও” “স্থির হয়ে রও” বলে সবাই হেঁকে । আমি ভাবছি, যাক-না কেন, ভাবনা কিছুই নাই— কোলকাতা নয় দিল্লি যাবে কিম্বা সে বোম্বাই। হঠাৎ কিসের আওয়াজ হ’ল, マ牙i CエラびもでTT羽ー তাকিয়ে দেখি কোলকাতা সেই আছে কোলকাতায় । হনুচরিত অসাধা। যা তাই জগতে করব সাধন । এই বলে তার প্রকাণ্ড কায় উঠল। ফুলে। মাথাটা তার কোথায় গিয়ে ঠেকাল মেঘে, শালের গুডি ভাঙল পায়ের ধাক্কা লেগে, দশটা পাহাড় ঢাকল তাহার দশ আঙুলে । পড়ল বিপুল দেহের ছায়া যে দিক বাগে দুপুর-বেলায় সেথায় যেন সন্ধ্যা লাগে, গোরু যত মাঠ ছেড়ে সব গোষ্ঠে ছোটে । দিন না যেতেই অন্ধকারের তারা জ্বলে, শেয়ালগুলো হুক্কাহুয়া চেচিয়ে ওঠে । লেজ বেড়ে যায় হু হু ক’রে একে বেঁকে, লেজের মধ্যে বন্যা নামিল কোথা থেকে, নগর পল্পী তলায় তাহার চাপা পড়ে । হঠাৎ কখন মস্ত মোটা লেজের বাধায় নদীর স্রোতের মধ্যখানে বাঁধ বেঁধে যায়, উপড়ে পড়ে দেবদারুবন লেজের ঝড়ে । লেজের পাকে পাহাড়টাকে দিল মোড়া, বেঁকে বেঁকে উঠল। কেঁপে আগাগোড়া, দুড়দাড়িয়ে পাথর পড়ে খসে খসে।