পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVOV রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী রাবণ কহিলেন, বরাজে সজারু পশি বারুইর যথা মজাইছে লঙ্কা মোর। এই উদাহরণটি অতিশয় সংকীর্ণ হইয়াছে; যদি সাহিত্যদর্পণকার জীবিত থাকিতেন তবে দোষ-পরিচ্ছেদে যেখানে সূর্যের সহিত কুপিত কপি কপোলের তুলনা উদধূত করিয়াছেন সেইখানে এইটি প্রযুক্ত হইতে পারিত। দূতের ডমরুধ্বনিতে, চিত্রাঙ্গদার শোকার্ত ভৎসনায় রাবণ শোকে অভিমানে ‘ত্যজি সুকনকাসন উঠিল গর্জিয়া”। সুকনকাসন, সুসিন্দুর, সুসমীরণ, সুআরাধনা, সূকবচ, সুউচ্চ, সুমনোহর কথাগুলি কাব্যের স্থানে স্থানে ব্যবহৃত হইয়াছে, এগুলি তেমন ভালো শুনায় না। ইহার পরে রাবণ সৈন্যদের সজিত হইতে আদেশ করিলেন, রণসজার বর্ণনা তেমন কিছু চিত্ৰিতবৎ হয় নাই, নহিলে উদধূত করিতাম। 8 যাহা হউক, প্ৰথম সর্গের এতখানি পড়িয়া যদি আমাদের রাবণের চরিত্র বুঝিতে হয় তো কী বুঝিব? রাবণকে কি মন্দোদরী বলিয়া আমাদের ভ্রম হইবে না? কোথায় রাবণ বীরবাহুর মৃত্যু | শুনিয়া পদাহত সিংহের ন্যায় জুলিয়া উঠিবেন, না সভাসুদ্ধ কাদাইয়া কঁদিতে বসিলেন!! কোথায় পুত্ৰশোক তাহার কৃপাণের শান-প্রস্তর হইবে, কোথায় প্রতিহিংসা তাহার শোকের ঔষধি হইবে, না। তিনি স্ত্রীলোকের শোকাগ্নি নির্বাণের উপায় অশ্রুজিলের আশ্ৰয় লইয়াছেন। কোথায় যখন দূত বীরবাহুর মৃত্যু স্মরণ করিয়া কঁদিবে তখন তিনি বলিবেন যে, আমার বীরবাহুর মৃত্যু হয় নাই তো। তিনি অমর হইয়াছেন, না। সারণ তাহাকে বুঝাইবে যে, “এ ভব মণ্ডল মায়াময়’ আর তিনি উত্তর দিবেন, তাহা জানি তবু জেনে শুনে কঁদে এ পরাণ অবোধ্য!” যিখন রাবণ বীরবাহুর মৃতকায় দেখিয়া বলিতেছেন “যে শয্যায় আজি তুমি শুয়েছ। কুমার, বীরকুলাসাধ্য এ শয়নে সদা” তখন মনে করিলাম, বুঝি এতক্ষণে মন্দোদরীর পরিবর্তে রাবণকে পাইলাম, কিন্তু তাহা নয়, আবার রাবণ কীদিয়া উঠিলেন। রাবণের সহিত যদি বৃত্ৰসংহারের বৃত্রের তুলনা করা যায়। তবে স্বীকার করিতে হয় যে, রাবণের অপেক্ষা বৃত্রের মহান ভাব আছে। বৃত্ৰ সভায় প্রবেশ করিবামাত্র 喻 নিবিড় দেহের বর্ণ মেঘের আভাস পর্বতের চুড়া যেন সহসা প্ৰকাশ। নিশান্তে গগনপথে ভানুর ছটায় বৃত্ৰাসুর প্রবেশিল তেমতি সভায়। ভুকুটি করিয়া দৰ্পে ইন্দ্রাসন-’পরে বসিল, কঁপিল। গৃহ দৈত্যপদভরে। মেঘনাদবধের প্রথম সর্গের উপসংহার। ভাগে যখন ইন্দ্ৰজিৎ রাবণের নিকট যুদ্ধে যাইবার প্রার্থনা করিলেন, তখন রাবণ কহিলেন, “এ কাল সমরে নাহি চাহে প্ৰাণ মম পাঠাইতে তোমা বারংবার’। কিন্তু বৃত্ৰপুত্র রুদ্রপীড় যখন পিতার নিকট সেনাপতি হইবার প্রার্থনা করিলেন তখন বৃত্ৰ কহিলেন, द्रद्धीएछ ! उद क्रिcख याङ ठाछिटाय, পূর্ণ করা যশোরশ্মি বাঁধিয়া কিরীটে; তোমার সে যশঃপ্রভা পুত্র যশোধর। ত্ৰিলোকে হয়েছ। ধন্য, আরও ধন্য হও তবে যে বৃত্রের চিত্তে সমরের সাধ