১৩৮ ৷৷ झीझ-झष्नांबर्की মধ্যে রাবণের যে মহান ভাব প্রকাশিত হইতেছে, তাহা যদি ইংরাজি-পুথি-সর্বস্ব-পাঠকেরা দেশীয় কবি বাল্মীকি লিখিয়াছেন বলিয়া বুঝিতে না পারেন, এইজন্য ইংরাজি কবি মিলটন হইতে তাহার আংশিক সাদৃশ্য উদধূত করিয়া দিতেছি, Thrice he essay'd and thrice, in spite of scorn, Tears, such as angels weep, burst forth :- ধূম্রাক্ষ নিহত হইয়াছেন শুনিয়া রাবণ ক্ৰোধে হতজ্ঞান হইয়া কৃতাঞ্জলিবদ্ধ সৈন্যাধ্যক্ষকে কহিলেন, অকম্পনকে সেনাপতি করিয়া শীঘ্ৰ যুদ্ধবিশারদ ঘোরদর্শন দুর্ধর্ষ রাক্ষসগণ যুদ্ধার্থে নিৰ্গত হউক। অতঃপর ক্রুদ্ধ রাবণ অকম্পন হত হইয়াছেন শুনিয়া কিঞ্চিৎ দীনভাবে চিন্তা করিতে লাগিলেন। রাক্ষসপতি মুহুর্তকাল মন্ত্রীদিগের সহিত চিন্তা করিয়া ক্ৰোধে উষ্ণ নিশ্বাস ফেলিতে ফেলিতে গৃহ হইতে নিৰ্গত হইলেন।” অতিকায় নিহত হইলে তাঁহাদের বচন শুনিয়া শোকবিহুল, বন্ধুনাশবিচেতন, আকুল রাবণ কিছুই উত্তর দিলেন না। সেই রাক্ষসশ্রেষ্ঠকে শোকাভিপুত দেখিয়া কেহই কিছু কহিলেন না; সকলেই চিন্তামগ্ন হইয়া রহিলেন। নিকুম্ভ ও কুম্ভ হত হইয়াছেন শুনিয়া রাবণ ক্ৰোধে প্ৰজ্বলিত অনলের ন্যায় হইলেন। স্বাবল ক্ষয় এবং বিরূপাক্ষবধ শ্রবণে রাক্ষসেশ্বর রাবণ দ্বিগুণ ক্ৰোধে জুলিয়া উঠিলেন। এই-সকল বর্ণনায় শোকের অপেক্ষা ক্রোধের ভাব অধিক ব্যক্ত হইয়াছে। ইন্দ্ৰজিৎ যুদ্ধে যাইবার নিমিত্ত পীড়াপীড়ি আরম্ভ করিলে রাবণ কহিলেন, - কুম্ভকৰ্ণ বলি ভাই মম, তায় আমি জাগানু অকালে ভূপতিত, গিরিশৃঙ্গ কিংবা তরু যথা -> <S?s:fCT, বজ্ৰাঘাতে ভূপতিত গিরিশৃঙ্গসম, এই উদাহরণটি তো বেশ হইল, কিন্তু আবার ‘কিংবা তরু” দিয়া কমাইবার কী প্রয়ােজন ছিল, যেন কবি গিরিশৃঙ্গেও প্রকাণ্ডভাব বুঝাইতে না পারিয়া কিংবা তরু” দিয়া আরও উচ্চ করিয়াছেন। তবে যদি একান্ত সমরে ইচ্ছা তব, বৎস, আগে পূজ ইষ্টদেবে প্রভৃতি বলিয়া রাবণ ইন্দ্ৰজিৎকে সেনাপতিপদে বরণ করিলেন, তখন বন্দীদের একটি গানের পর প্ৰথম সর্গ শেষ হইল। সপ্তম সর্গে বর্ণিত আছে, মহাদেব রাবণকে ইন্দ্ৰজিতের নিধনবার্তা জানাইতে ও রুদ্ৰতেজে । পূৰ্ণ করিতে বীরভদ্রকে রাবণসমীপে প্রেরণ করিলেন। hy bनिक्नों उठाकi०थ बोद्धख्ध वकी डैीभाकृडि; ব্যোমাচর নামিলা চৌদিকে সুধাংশু নিরাংশু যথা সে রবির তেজে। ভয়ংকরী শূল ছায়া পড়িল ভূতলে। পূজিলা ভৈরব দূতে। উতরিলা রখী রক্ষঃপুরে; পদচাপে থর থর থরি ১. যুদ্ধকাণ্ড, ৫৭ অধ্যায়। ২. যুদ্ধকাণ্ড, ৭৭ অধ্যায়।
