পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

公á、 রবীন্দ্র-রচনাবলী অন্যায় হইয়াছে; প্রতি-নায়ককে নত করিলেই যে নায়ককে উন্নত করা হয়, তাহা নহে; হিমালয়কে ভূমি অপেক্ষা উচ্চ বলিলে হিমালয়ের উচ্চত্ব প্রতিভাত হয় না, সকল পর্বত হইতে হিমালয়কে উচ্চ বলিলেই তাহাকে যথার্থ উন্নত বলিয়া বোধ হয়। একবার, দুইবার, তিনবার পরাজিত হইলে কাহার মন দমিয়া যায়? পৃথিবী বীরের। সহস্রাবার অকৃতকার্য হইলেও কাহার উদ্যম টলে না? স্বর্গের দেবতার।ইন্দ্ৰ ইন্দ্ৰজিতের অপেক্ষা দুর্বল হইতে পারেন, কিন্তু ভীরু কেন ধ্ৰুংলুঙ্গরয় ভাগেই ধৰি যেইজকে কাপুরুষ হরিয়া আঁক্রিয়াছেন, তাহা যজ্ঞ সুকবি সংগত হয় নাই। ইন্দ্ৰ শচীর সহিত কৈলাস-শিখরে দুর্গার নিকটে গমন করিলেন এবং রাঘবকে রক্ষা করিতে অনুরোধ করিলেন। এক বিষয়ে আমরা ইন্দ্রের প্রতি বড়ো অসন্তুষ্ট হইলাম, পাঠকের মনে আছে যে, ইন্দ্রের কৈলাসে আসিবার সময় লক্ষ্মী প্ৰায় মাথার দিব্য দিয়া বলিয়া দিয়াছিলেন যে, বড়ো ভালো বিরূপাক্ষ বাসেন লক্ষ্মীরে। কহিয়ো, বৈকুণ্ঠপুরী বহুদিন ছাড়ি আছয়ে সে লঙ্কাপুরে! কত যে বিরলে ভাবয়ে সে অবিরল; একবার তিনি, কী দোষ দেখিয়া তারে না ভাবেন মনে ? কোন পিতা দুহিতারে পতিগৃহ হতে পাছে শিবের সহিত দেখা না হয় ও তিনি শিবের বিজ্ঞত্বের উপর যে ভয়ানক কলঙ্ক আরোপ করিয়াছেন তাহা অনর্থক নষ্ট হয়, এই নিমিত্ত তিনি বিশেষ করিয়া বলিয়াছিলেন যে ত্ৰ্যম্বকে না পাও যদি, অম্বিকার পদে 界 কহিয়ে এ-সব কথা। ’ লক্ষ্মীর এমন সাধের অনুরোধটি ইন্দ্ৰ পালন করেন নাই। মহাদেবের পরামর্শ মতে ইন্দ্ৰ মায়াদেবীর মন্দিরে উপস্থিত হইলেন। সীেরা-খরতর-কারজাল-সংকলিত- - আভাময় স্বর্ণাসনে বসি কুহকিনী ရ\ဌိရဲန္ဈဒ္ဒါ၊ | আমাদের মতে মায়াদেবীর আসন সৌর-খরতর-কারজাল-সংকলিত না হইয়া যদি অস্ফুট অন্ধকার-কুজবিটিকা-মণ্ডিত জলদময় হইত, তবে ভালো হইত। মায়াদেবীর নিকট হইতে দেবঅস্ত্ৰ লইয়া ইন্দ্র রাম-সমীপে প্রেরণ করিলেন। পঞ্চম সর্গে ইন্দ্ৰজিতের ভাবনায় ইন্দ্রের ঘুম নাই; —কুসুম শয্যা ত্যজি, মীেন-ভাবে বসেন ব্রিদিব-পতি রত্ন-সিং ;- সুবৰ্ণ মন্দিরে সুপ্ত আর দেব যত। দেবতাদিগের ঘুমটা না থাকিলেই ভালো হইত, যদি বা ঘুম রহিল, তবে ইন্দ্ৰজিতের ভয়ে ইন্দ্রের রাতটা না জাগিলেই ভালো হইত। শচী ইন্দ্রের ভয় ভাঙিবার জন্য নানাবিধ প্ৰবোধ দিতে লাগিলেন, “পাইয়াছ অস্ত্ৰ কান্ত’, কহিলা পীেলমী অনন্ত যৌবনা, যাহে বধিলা তারকে । মহাসুর তারকারি; তব ভাগ্য বলে তব পক্ষ বিরাপাক্ষ; আপনি পার্বতী, দাসীর সাধনে সাধবী কহিলা, সুসিদ্ধ