পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>(社や রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী মহােৎসব-প্রসঙ্গে নানাপ্রকার আমোদ প্রমোদ হইতেছিল। রাম তন্মধ্যে প্রবেশ করিয়াও এই বিপদে ধৈর্যাবলম্বন করিয়া রহিলেন। জ্যোৎস্নাপূর্ণ শারদীয় শশধর যেমন আপনার নৈসর্গিক । শোভা ত্যাগ করেন না; সেইরূপ তিনিও চিরপরিচিত হর্ষ পরিত্যাগ করিলেন না।” সাধারণ্যে রামের প্রজারঞ্জন, এবং বীরত্বের ন্যায় তাহার অটল ধৈৰ্যও প্রসিদ্ধ আছে। বাল্মীকি রামকে মনুষ্যচরিত্রের পূর্ণতা অৰ্পণ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন; তিনি তঁহাকে কোমলতা ও বীরত্ব, দয়া ও ন্যায়, সহৃদয়তা ও ধৈর্য প্রভৃতি সকল প্রকার গুণের সামঞ্জস্য-স্থল করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। আমরা উপরি-উক্ত আদর্শ সম্মুখে রাখিয়া মেঘনাদবধ কাব্যের রাম চরিত্র সমালোচনা করিব, অথবা যদি মাইকেল রাম-চরিত-চিত্রের আদিকবির অনুসরণ না করিয়া থাকেন, তবে তাহা কতদূর সংগত হইয়াছে আলোচনা করিয়া দেখিব। যখন প্রমীলার দূতী নৃমুণ্ডমালিনী রামের নিকট অসি, গদা বা মল্লযুদ্ধের প্রস্তাব করিতে গেলেন, তখন রঘুপতি উত্তর দেন যে, বৈরিভাব আচরিব তোমাদের সাথে ? ইত্যাদি। তখন মনে করিলাম যে, রাম ভালোই করিয়াছেন, তিনি বীর, বীরের মর্যাদা বুঝেন; অবলা স্ত্রীলোকদের সহিত অনর্থক বিবাদ করিতেও তঁহার ইচ্ছা নাই। তখন তো জানিতাম না যে, রাম ভয়ে যুদ্ধ করিতে সাহস করেন নাই। রক্ষোবর! যুদ্ধসাধ ত্যজিনু তখনি। মূঢ় যে ঘটায় হেন বাঘিনীরে। এ রাম যে কী বলিয়া যুদ্ধ করিতে আসিয়াছেন সেই এক সমস্যা! pপ্রমীলা তো লঙ্কায় চলিয়া যাউন, কিন্তু রামের যে ভয় হইয়াছে তাহা আর কহিবার নয়। তিনি বিভীষণকে ডাকিয়া কহিতেছেন এবে কী করিব, কহাে, রক্ষ-কুলমণি? সিংহ সহ সিংহী আসি মিলিল বিপিনে, কে রাখে এ মৃগ পালে? রামের কাদো কঁদো স্বরা যেন আমরা স্পষ্ট শুনিতে পাইতেছি। লক্ষ্মণ, দাদাকে একটু প্ৰবোধ দিলেন; রাম বিভীষণকে কহিলেন কৃপা করি, রক্ষোবর, লক্ষ্মণেরে লয়ে, দুয়ারে দুয়ারে সখে, দেখো সেনাগণে। কোথায় কে জাগে আজি ? মহাক্লান্ত সবে .এ পশ্চিম দ্বারে আপনি জাগিব আমি ধনুর্বাণ হাতে! লক্ষ্মণ যষ্ঠ সর্গে রামকে কহিলেন রঘুনাথ উত্তর করিলেন较 शं ( x6--- যে কৃতান্ত দূতে দূরে হেরি, উর্ধ্বশ্বাসে