পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sዔbr রবীন্দ্র-রচনাবলী তাই দেব অনুনয় শুন গো আমার, । দেবতার মাঝে তারে করে আনয়ন।’ আমাদের প্রতি দয়া হইল বিধিরকহিলেন, ধৈর্য ধরো, আসুক সময়পৃথিবীতে এক জন আছে গো অধীর কখন হারায় তারে সদা তার ভয়।” প্ৰেম কহে তার পানে করি নিরীক্ষণ ঈশ্বর নূতন সৃষ্টি করিলা সৃজন! মুকুতার মতো পাণ্ডু বরন তাহারপ্রকৃতির পূর্ণতম-শিল্প সেই জন, কহি তারে পূর্ণতম আদর্শ শোভার! সুন্দর নয়নে তার সদাই জাগ্রত এমন প্রেমের জ্যোতি, এমন উজ্জ্বল যে জ্যোতি দর্শক আঁখি করায় মুদিত— সে জ্যোতি ঢালয়ে হদে আলোক বিমল। হাসিতে চিত্ৰিত যেন প্রেমের আকারএক দৃষ্টি কে তাকাবে সে হাসি তাহার? তোমারে কহি, হে গান, সস্তান প্রেমের, তুমি তো যাইবে বহু মহিলার কাছে, বিলম্ব কোরো না কভু, বলে তাঁহাদের“দেবীগণ, মোর শুধু এক কাজ আছেতাহার চরণে যাওয়া, যার মহা যশে ভাণ্ডার আমার এই পূর্ণ রহিয়াছে।” যদিবা বিলম্ব তব হয় দৈববশে, দেখো যেন রহিয়ে না। তাহদের কাছেঅসাধু যাদের জান, মন ভালো নয়কেবল রমণী আর প্রেমিকের কানে খুলিয়ো হে গীত তুমি তোমার হৃদয়! মহিলা আমার বসি আছেন সেখানে যেখানে] তীরে মোর কথা তুমি দিয়ো বুঝাইয়া! মৃত্যু হইবে। কল্পনা তঁহাকে পাগলের মতো করিয়া তুলিল, কল্পনায় তিনি দেখিতে লাগিলেন, কেহ তঁহাকে কহিতেছে, “তোমার মৃত্যু হইবে।” কেহ বা কহিতেছে, “তুমি মরিয়ােছ।” তিনি চারিদিকে পাখিরা মরিতেছে ও পড়িতেছে- এই বিপ্লবের মধ্যে কে যেন তীহাকে কহিল, “জন না তোমার অনুপম মহিলা পৃথিবী পরিত্যাগ করিয়াছেন?” তিনি যেন বিয়াত্ৰিচের মৃত্যুকালীন