পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহাদের মধ্যে মোর নিবাস কহিনু। একদা রমণী এক আহ্বানিলা মােরে- ; হেন পুণ্যময় মূর্তি এমন সুন্দরী দেখেই আমনি তার মাগিনু আদেশঅতিশয় মৃদু আর অতি সুকোমল দেবতার স্বরে সুর বঁধি, কহিলেনঅয়ি উপছায়া! তুমি যাহার সুৰ্যশ যদিন প্রকৃতি রবে, রহিবে বঁচিয়াএই অনুনয় মোর করাহ শ্ৰবণ। — · বন্ধু এক মোর (নহে বন্ধু সম্পদের) মহারণ্যে নিদারুণ বাধা বিঘ্ন পেয়ে— ভয়ে অভিভূত হয়ে পড়েছেন তিনি। ভয় করি পাছে হন হেন পথহারা আর তারে একেবারে ফিরাতে না পারি! উদ্দীপনা-বাক্যে তব, যে-কোনো উপায়ে, ফিরাইয়া আনো, তবে লভিব বিরাম! আসিয়াছি স্বৰ্গ হতে বিয়াত্ৰিচে। আমি মোর মধ্য দিয়া সবে যাও দুঃখদেশে; মোর মধ্য দিয়া যাও চির-দুঃখভোগে— মোর মধ্য দিয়া যাও তাহদের কাছে! ন্যায়ের আদেশে আমি হয়েছি নির্মিত।-- অনন্ত জ্ঞান ও প্ৰেম স্বগীয় ক্ষমতাআমারে পোষণ করা কার্য তাহাদের! মোর পূর্বে আর কিছু হয় নি সৃজিত— অনন্ত-পদার্থ ছাড়া, তাই কহিতেছি। হেথায় অনন্ত কাল দহিতেছি। আমি। ‘হে প্ৰবেশি, ত্যজি স্পাহা, প্রবেশ এ দেশে।” । কবি বর্জিল ভীত দান্তেকে সাস্তুনা করিয়া এক স্থানে লইয়া .ে আর্তনাদ, ক্ৰন্দন, বিলাপ শুনিয়া, প্রবেশি সৈন্থা উঠিনু কঁদিয়া। : নানাবিধ ভাষা আর ভয়ানক কথা, যন্ত্রণার আর্তনাদ, ক্ৰোধের চীৎকার করতালি— কঠোর ও ভগ্নকণ্ঠ-ধ্বনি- ( নিরেট সে অাঁধারের চার দিক ঘেরি ঘূর্ণ-বায়ে রেণুসম ফিরিছে সতত! Stro বর্জিল সেই বিয়াত্ৰিচের অনুরোধেই দান্তেকে ভ্ৰষ্ট-পথ হইতে ফিরাইতে আসিয়াছেন। দান্তে বজিলের সহিত নরক-দৰ্শন করিতে যাইতে আহ্বাদের সহিত সম্মত হইলেন। তৃতীয় স্বর্গে দান্তে নরকের তােরণে গিয়া উপস্থিত হইলেন। তোরণে অস্ফুট অক্ষরে লিখা আছে— গলেন- সেখানে দীর্ঘশ্বাস,