পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামুদ্রিক জীব প্রথম প্রস্তাব शैōभू এই সমুদ্র, এই জলময় মহা মরুপ্রদেশ, যাহা মনুষ্যদিগের মৃত্যুর আবাস, যাহা শত শত জলমগ্ন অসহায় জলযাত্রীর সমাধিস্থান, তাহাই আবার কত অসংখ্য জীবের জন্মভূমি, ক্ৰীড়াস্থল। স্থলপ্রদেশ এই জলজগতের তুলনায় কত সামান্য, কত ক্ষুদ্র। মিশ্লে (Michelet) কহেন, পৃথিবীতে জলই নিয়ম-স্বরূপ, শুষ্ক ভূমি তাহার ব্যতিক্রম মাত্র। পৃথিবীর এই চর্তুদিকব্যাপী, এই কুমেরু হইতে সুমেরু পর্যন্ত বিস্তৃত মহাপরিখা। যদি শুষ্ক হইয়া যায়, তবে কী মহান, কী গভীর দৃশ্য আমাদের সম্মুখে উদঘাটিত হয়, কত পর্বত, কত উপত্যক, সামুদ্রিক-উদ্ভিদ-শোভিত কত কানন কত ক্ষুদ্র ও প্রকাণ্ড জীব আমাদের দৃষ্টিপথে পতিত হয়। এই সামুদ্রিক অরণ্যে কত প্ৰাণী ছুটিতেছে, সাঁতার দিতেছে, বালির মধ্যে লুকাইতেছে, কেহ বা বিশাল পর্বতের গাত্রে লগ্ন হইয়া আছে, কেহ বা গহবরে আবাস নির্মাণ করিতেছে, কোথাও বা পরস্পরের মধ্যে মহা বিবাদ বাধিয়া গিয়াছে, কোথাও পরস্পর মিলিয়া মেহের খেলায় রত রহিয়াছে। আমাদের প্রসিদ্ধ কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী মহাশয় সমুদ্র-বর্ণনাস্থলে যে একটি লোমহর্ষণ চিত্ৰ দিয়াছেন তাহা এই স্থলে উদধূত না করিয়া থাকিতে পারিলাম না। 8S ততই বিস্ময়-রাসে হই নিমগন, এমন প্ৰকাণ্ড কাণ্ড যাহার উপরে, ना अनि केी का७ उाएछ डिउल (१ांश्रम ! 8 NR আজি যদি আসি সেই মুনি মহাবল, সহসা সকল জল শোষেন। চুম্বুকে, কী এক অসীমতর গভীর অতল, আচম্বিতে দেখা দেয় আমার সমুখে! 89 কী ঘোর গর্জিয়া উঠে প্ৰাণী লাখে লাখ, কী বিষম ছটফট ধড়ফড় করে; হঠাৎ পৃথিবী যেন ফাটিয়া দােফাক, সমুদয় জীবজন্তু পড়েছে ভিতরে। 88 কোলাহলে পুরে গেছে। অখিল সংসার, জীবলোক দেবলোক চিকিত স্থগিত; সমস্ত ব্ৰহ্মাণ্ড যেন বেগে বিলোড়িত। S१ ॥७३