পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eo ब्रौद्ध-द्रष्नावी মানুষ (ক)(ম)-ক্ষেত্রে নামিল- ক হইতে আরম্ভ করিল, ম-য়ে শেষ করিল। কঁদিয়া জন্মিল, ক্ৰন্দনের মধ্যে অপসারিত হইল। কিন্তু মানুষের এই সমগ্র জীবন আরম্ভ ক-বর্গের মধ্যে প্ৰতিবিম্বিত আছে। কী-বর্গে কী কী আছে? কাদা, খেলা, গোলা, ঘা লগা ও উ আী করা। প্রথম কাদা, শৈশবের ক্ৰন্দন, দ্বিতীয় খেলা, কৈশোরের খেলা। তৃতীয় গেলা অর্থাৎ ভোগ, যৌবনের ভোগ। চতুর্থ ঘা লগা, শ্ৰীেঢ়ের শোক। পঞ্চম উ আঁ করা, বৃদ্ধের রোগ; বৃদ্ধের বিলাপ। জীবনের ভোজ অবসান হইলে যে-সকল ছোড়া পাত ভাঙা পাত্র, বিক্ষিপ্ত উচ্ছিষ্ট ইতস্তত পড়িয়া থাকে, তাহাও ক-বর্গের মধ্যে গিয়া পড়ে, যথা- (ক)ঠ, (খ)ট, (গ)ঙ্গার (ঘ)ট ও বিলাপের উ আী শব্দ। আরম্ভের সহিত অবসানের এমনি নিকট সম্বন্ধ! অ আ প্রভৃতি স্বরবর্ণগুলি আমাদের জীবনের অনুভাবসমূহ। এগুলি ব্যতীত কোনো ব্যঞ্জনবর্ণ দাঁড়াইতে পারে না। জীবনের যে-কোনো ঘটনা ঘটুক-না তাহার সহিত একটা অনুভবের স্বরবর্ণ লিপ্ত আছেই। কখনো বা তৃপ্তিসূচক আ, কখনো বা তীব্র যন্ত্রণা-সূচকই, কখনো বা গভীর যন্ত্রণাসূচক উ, আমাদের ঘটনার ব্যঞ্জনবর্ণে যুক্ত হয়। মর্ত্য-জীবনের বর্ণমালায় সমুদয় ব্যঞ্জনবর্ণের সহিত অভাব-সূচক ‘অ’ লিপ্ত থাকে। তাঁহাই তাহার মূল সহচর। অদৃষ্ট আমাদের এই সকল অক্ষর সাজাইয়া এক-একটা গ্ৰন্থ রচনা করিতেছে। কাহারো বা কাব্য হয়, কাহারো বা দৰ্শন হয়, কাহারো বা ছাড়া ছাড়া অর্থহীন কতকগুলা অক্ষর-সমষ্টি হয় মাত্র, দেখিয়া মনে হয়, তাহার অদৃষ্ট হাত-পাকাইবার জন্য চিরজীবন কেবল মকৃশো করিয়াই আসিতেছে, পদরচনা করিতে আর শিখিল না! এই সকল রচনার খাতা হাতে করিয়া বোধ করি পরলোকে মহাগুরুর নিকটে গিয়া বািড়াইতে হবে, তিনি যাহাক যে শ্রেণীর উপযুক্ত বিকেল করবেন, উত্তীর্ণ বরিয়া VK || বিষয়টা অত্যন্ত শোকাবহ হইয়া দাঁড়াইল। আমাদের আলংকারিকেরা বিয়োগান্ত নাটকের বিরোধী। তবে কেন আমাদের বৈয়াকরণিকেরা এমনতরো বিয়োগান্ত করুণ রসোদ্দীপক বর্ণমালার সৃষ্টি করিলেন? কিন্তু পাঠকেরা ভুলিয়া গেছেন, আমাদের সাহিত্যে পাঁচ অঙ্কেই নাটক শেষ হয় না, আরো দুটাে অঙ্ক বাকি থাকে। পাঁচটা বর্গেই আমাদের বর্ণমালা শেষ হয় না, আরো দুটাে বর্গ থাকে। মরণেই আমাদের জীবন-পুস্তকের সমাপ্তি নহে; তাহা একটা পদের পর একটা দাঁড়ি মাত্র। অমন কত সহস্ৰ পদ আছে, কত সহস্ৰ দাঁড়ি আছে কে জানে? অবশিষ্ট দুটি বর্গের কথা পরে বলিব, আপাতত পাঠকদিগকে আশ্বাস দিবার জন্য এইটুকু বলিয়া রাখি হয়ে আমাদের বর্ণমালা শেষ। হ অর্থে হওয়া, মরা নহে। অতএব বিলাপ করিবার কিছুই নাই। আমাদের ব্যঞ্জনবর্ণ আমাদের নাটকের ন্যায় (কঁ)দায় আরম্ভ (হ)সায় শেষ। আমাদের বর্ণমালা, “অহং” শব্দের একটি ব্যাখ্যা। অ-য়ে ইহর আরম্ভ, হ-য়ে ইহার শেষ! ভারতী vasa-rsk SSirr রেল গাড়ি BDB BB DS DDBBuD uBu DDBBD DDD DB DDD BBB DDB BBD B আমরা জ্ঞানের পথে চলিতে পারি। অনেক ন্যায়রত্ন এই বলিয়া গৰ্ব করেন যে-সমস্ত জীবনে তাহারা যত কাজ করিয়াছেন, তাহতে বিশ্বাসের কোনো হত নাই। ইহারা ইহা বুঝেন না যে, বিশ্বাস না থাকিলে যুক্তি এক দণ্ড টিকিয়া থাকিতে পারে না। যুক্তিকে বিশ্বাস করি বলিয়াই তাহার এত জোর, নহিলে সে কোথাকার কে? যুক্তিকে কেন বিশ্বাস করি, তাহার একটা যুক্তি কেহু দেখাইতে পারে? কেহই না। অতএব দেখা যাইতেছে যুক্তির উপর আমাদের একটি যুক্তিহীন বিশ্বাস, অন্ধ বিশ্বাস আছে। আমরা দৃশ্যমান পদার্থকে বিশ্বাস করি কোন যুক্তি