পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vos রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী প্রেমে বাঁধা রেখো মা সংসারে; ওরে, কে অভাগা এসেছে জঠরে?” “যবে গভীরা যামিনী, বসি জ্বারে। শিশুদুটি ঘুমায় কুটিরে, চান্দ পানে চাহি কঁাদি সই, চাদ মুখ পড়ে মনে।” এই সরল কথায় সীতার বেশ একটি চিত্র দেওয়া হইয়াছে। অধিক উদধূত করিবার স্থান নাই, ७प्यूट कब्रिजाभ ना। লক্ষ্মণ-বর্জন বিষয়টি অতি মহান, কিন্তু তাহা দৃশ্যকাব্য রচনার উপযোগী কি না সন্দেহ। লেখক রাম-চরিত্রের অর্থ, রামচরিত্রের মর্ম ইহাতে নিবিষ্ট করিয়াছেন। রামের সমস্ত কাৰ্য, সমস্ত বীরত্ব-কাহিনীকে তিনি দুইটি অক্ষরে পরিণত করিয়াছেন। সে দুইটি অক্ষর- প্রেম। এই সংক্ষেপ দৃশ্যকাব্যখানিতে লেখক একটি মহান কাব্যের রেখাপাত মাত্র করিয়াছেন। ইহাতে লক্ষ্মণের মহত্ত অতি সুন্দর হইয়াছে। কবি যাহা বলেন, তাহার মর্ম এই যে, বীরত্ব নামক গুণ স্বাবলম্বী গুণ নহে, উহ্য পরমুখাপেক্ষী গুণ। যেখানে বীরত্ব দেখা যাইবে, সেইখানে দেখিতে হইবে, সে বীরত্ব কাহাকে আশ্রয় করিয়া আছে, সে বীরত্বের বীরত্ব কী লইয়া। কে কত মানুষ খুন করিয়াছে, তাহা বীরত্বের বিচার। কেহ বা আত্মরক্ষার জন্য বীর, কেহ বা পরের প্রাণ রক্ষার জন্য বীর। জননী সন্তান-মেহের জন্য বীর, দেশ-হিতৈষী স্বদেশ-প্ৰেমে বীর। তেমনি লক্ষ্মণও বীর বলিয়াই বীর নহেন, তিনি বীর হইয়া উঠিয়াছিলেন। কিসে তাহাকে বীর করিয়া তুলিয়াছিল? প্রেমে। রামের প্রেমে। অনেকে প্রেমকে হৃদয়ের দুর্বলতা বলেন, কিন্তু সেই প্রেমের বলেই লক্ষ্মণ বীর। যখন সত্যের অনুরোধে রাম লক্ষ্মণকে ত্যাগ করিলেন, তখন লক্ষ্মণ কহিলেন, “সেবা মম পূর্ণ এত দিনে, আত্ম-বিসর্জনে পূজা করি সম্পূরণ! DDDSSB LBBBL LBBD DDDS করি আপনা বাঞ্চন, রঘুমণি, সেই প্রেম স্মরি, সেই প্ৰেমন্বলে পলু আমি লটিঘনু সুমেরু ! সেই প্রেম বলে না টিলিনু শক্তি-শেল হেরি, ७क-दहन coट निनू cनल রাম-প্রেমে শেলে পাইনু ত্ৰাণ!” রাম ও লক্ষ্মণ, হিংসা, ঘূণা, যশোলিলা বা দুরাকান্ডক্ষার বলে বীর নহেন, তাহারা প্রেমের বলে বীর। তঁহদের বীরত্ব সর্বোচ্চ-শ্রেণীর বীরত্ব। এই মহান ভাব এই সংক্ষেপ দৃশ্যকাব্যখানির মধ্যে নিহিত আছে। । মুক্তি ও সাধন সম্বন্ধে হিন্দুশাস্ত্রের উপদেশ। শ্ৰীবিপিন বিহায়ী ঘোষাল প্রণীত। পুস্তকখানির জন্য আমরা গ্ৰহকারকে প্রাণের সহিত ধন্যবাদ দিতেছি।ইহাতে গ্রহ কর্তার অসাধারণ অতি সুন্দর হইয়াছে।