পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8tr সে ক্ষুদ্র কুটির আর ভাঙাচোরা পথ, দিগন্তের পদতলে বিশাল প্ৰান্তর ... তৃণফুল শুকায় নিভৃতে। তা হইলে মধুময় কবিতার মতো কেমন আরামে যেত জীবন কাটিয়া। এমন হৃদয়হীন উপেক্ষার মাঝে একজন ছিল মোর প্রেমের প্রতিমা, অমিয়া, সে বালিকারে কত ভালোবাসি। ধবল জলদ জালে, আধো আধো ঢাকাবালিকা তেমনি আহা মধুর কোমল। সেই বালা দয়া করি। হাদয় আমার রেখেছিল জুড়াইয়া মেহের ছায়ায়। অনন্ত-প্ৰণয়ময়ী রমণী তোমরা পৃথিবীর মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। তোমাদের স্নেহধারা যদি না বর্ষিত হৃদয় হইত। তবে মরুভূমিসম স্নেহ দয়া প্ৰেম ভক্তি যাইত শুকায়ে। তোমরাই পৃথিবীর সংগীত, কবিতা, স্বৰ্গ, সে তো তোমাদের হািদয়ে বিরাজে সে হািদয়ে মেহছায়ে দিলে গো আশ্রয় পাষাণ-হাদয় সেও যায় গো গালিয়া! কেহই আশ্রয় যাবে ছিল না। অমিয়া! , জননী, ভগ্নীর মতো বেসেছিলে ভালো সে কি আর এ জনমে পারিব ভুলিতে ? বিষয় কাতর এক বালকের ”পরে সে যে কী মেহের ধারা করেছি। বর্ষণ । চিরকাল হৃদয়ে তা রহিবে মুদ্রিত। ওই স্নেহময় কোলে রাখি শ্ৰান্ত মাথা কাতর হইয়া কত করেছি। রোদন কত-না ব্যথিত হয়ে আদরে যতনে অঞ্চলে সে অশ্রুজােল দিয়াহু মুছায়ে। কবিতা লিখিলে ছুটে ওই কোলে গিয়া ওই গলা ধরে তাহ শুনাতম কত বাল্যহীদয়ের মোর যন্ত ছিল কথা তোমার কাছোতে কিছু করি নি গোপন। ওই স্নেহময় কোল ছিল স্বৰ্গ মোর